বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High court: নিজের স্মার্টফোন দিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ছাত্রের জালিয়াতি ধরলেন বিচারপতি

Calcutta High court: নিজের স্মার্টফোন দিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ছাত্রের জালিয়াতি ধরলেন বিচারপতি

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি (HT_PRINT)

ছাত্রের অভিযোগ ছিল তাঁর র‌্যাঙ্কে গরমিল রয়েছে। এই অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি নিজের স্মার্ট ফোন থেকে উত্তরপত্রের কিউআর কোড স্ক্যান করেন। তাতেই প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন বিচারপতি। শুধু নিজের ফোনে নয়, আইনজীবীর দুটি ফোনেও কিউ আর কোড স্ক্যান করে একই তথ্য জানতে পারেন বিচারপতি।

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে র‌্যাঙ্ক বিভ্রান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এক ছাত্র। কিন্তু, বিচারপতির তৎপরতায় ফাঁস হল ছাত্রের জালিয়াতি। এজলাসে বসেই নিজের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে ছাত্রের জালিয়াতি ধরে ফেললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে শেষমেশ জালিয়াতির কথা স্বীকার করে নেন ছাত্র। ছাত্রের এরকম জালিয়াতিতে কার্যত বিস্মিত বিচারপতি।

আরও পড়ুন: জয়েন্টের প্রথম দশে পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাত্র ৩, দাপট CBSE-র, WBCHSE-তে খুশি মমতা

কীভাবে জালিয়াতি ধরলেন বিচারপতি?

ছাত্রের অভিযোগ ছিল তাঁর র‌্যাঙ্কে গরমিল রয়েছে। এই অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি নিজের স্মার্ট ফোন থেকে উত্তরপত্রের কিউআর কোড স্ক্যান করেন। তাতেই প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন বিচারপতি। শুধু নিজের ফোনেই নয়, আইনজীবীর দুটি ফোনেও কিউ আর কোড স্ক্যান করে একই তথ্য জানতে পারেন বিচারপতি। মামলার বয়ান অনুযায়ী, চলতি বছরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই ছাত্র। তাঁর দাবি ছিল, প্রথমবার ওয়েবসাইটে তিনি জানতে পারেন তাঁর জেনারেল মেরিট র‌্যাঙ্ক ১৬ এবং ফার্মেসি মেরিট র‌্যাঙ্ক ২৪। দ্বিতীয়বার তিনি জানতে পারেন দুটি র‌্যাঙ্কই বদলে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে জেনারেল মেরিট র‌্যাঙ্ক এবং ফার্মেসি মেরিট র‌্যাঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৪৩৯ এবং ৩২৮৫। এরপরই র‌্যাঙ্ক বিভ্রান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্র।

ছাত্রের অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। তারপরেই জয়েন্ট এন্ট্রান্সের আইনজীবী কিউআর কোডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই সঠিক তথ্য জানা যাবে। বোর্ডের আইনজীবীর পরামর্শ মেনে নিজের স্মার্টফোন থেকে উত্তরপত্রে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করেন বিচারপতি। তাতেই তিনি জানতে পারেন, ছাত্রের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দ্বিতীয়বার যে র‌্যাঙ্ক দেখানো হয়েছে সেটিই সঠিক। এরপরের বিচারপতি প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই ছাত্র শেষে জালিয়াতির কথা স্বীকার করে নেয়। ওই পরীক্ষার্থীর ডাউনলোড করা নথিতে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে জানতে পারে আদালত। ছাত্রের অভিযোগ মিথ্যা হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি।

এদিকে, এই জালিয়াতি প্রসঙ্গে ছাত্রের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী। তিনি জানান, ‘ওই ছাত্র জালিয়াতি করেছিলেন। ভুয়ো দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। কিন্তু কিউআর কোড স্ক্যান করতেই সঠিক তথ্য আদালতের সামনে এসেছে। আমরা ব্যবস্থা নেব।’ যদিও মামলাকারী ছাত্র হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছেন বিচারপতি।

বন্ধ করুন