পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে পালন করা হবে তা ঠিক করতে মঙ্গলবার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যাচ্ছে না কোনও বিরোধী দলই। আমন্ত্রণ পাওয়ার পর এ নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিল ফ্রন্ট। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও শরিকই এই বৈঠকে থাকবে না বলে ঠিক হয়েছে বৈঠকে। এই সিদ্ধান্ত লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‘দেশ ভাগে যন্ত্রণা এখনও বহু মানুষের মনে জেগে রয়েছে। তাই এই ধরনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে আমরা বিশ্বাসী নই।’
একই সঙ্গে রাজ্যপালের নেওয়া পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের কর্মসূচির বিরোধিতা করা হয় বামফ্রন্টের বৈঠকে। তাঁদের বক্তব্য, বেকারত্ব, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, জাত-ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্য যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু তা বাদ দিয়ে অন্য সব বিষয় নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে।
পড়তে পারেন। গেরুয়া আবেগে শান! এবার বাংলার পুজোয় রামমন্দির, উদ্বোধনে আসতে পারেন শাহ-যোগী)
এই বৈঠকে থাকবে না বিজেপিও। এ নিয়ে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একটি অনৈতিহাসিক ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সামনে এনে ইতিহাস বিকৃত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিজেপি তার শরিক হবে না।’
কংগ্রেসও এই বৈঠকে থাকবে না। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছেন কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে হাজির থাকবে না। পরে অধীর বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের নাম নিয়ে বিজেপি-তৃণমলের মধ্যে টানাটানি চলছে। তাই কংগ্রেসের বৈঠক নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। যদি সর্বদল বৈঠত করতেই হয় তবে রাজ্যের আই-শৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করু রাজ্য সরকার।
আইঅসঅফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিক,জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ তারা পাননি। পেলে ভেবে দেখা হতো। তারা যাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন নওশাদ