একুশের নির্বাচনের পর থেকেই সংগঠনে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। সেফ হোমের মোহভঙ্গ হতেই এখন তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার হিড়িক লেগেছে। এমনকী বিধায়ক ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে। আর যাঁরা এখনও যেতে পারেননি তাঁরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। দলের সভা–সমাবেশ, কর্মসূচিতে তাঁরা অংশগ্রহণ করছেন না। এই পরিস্থিতিতে কর্পোরেট ধাঁচে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের চিহ্নিত করে সেই তালিকা নয়াদিল্লিতে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল ফলপ্রকাশের পর তা ম্রিয়মান হয়ে পড়েছে। সুতরাং এখন আর তাঁদের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। এই তালিকায় নেতারাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যা প্রকৃত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে। সেখানে সংগঠন চাঙ্গা করা তো দূরের ব্যাপার উলটে ভাঙন ধরেছে ব্যাপক হারে।
কিভাবে চিহ্নিত করা হবে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের? সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলায় একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেখানে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের নাম এবং তারিখ দিয়ে কবে থেকে সংগঠনের এবং দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছেন তার উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সেই ফর্ম পূরণ হয়ে গেল তা ই–মেলের মাধ্যমে চলে যাবে নয়াদিল্লিতে। তারপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন এই নিষ্ক্রিয় কর্মীদের কি করবেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা বিজেপির নেতা বলেন, ‘নয়াদিল্লি থেকে একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছে। কর্পোরেট ধাঁচে সেখানে তথ্য পূরণ করতে হবে। নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তা চিহ্নিত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সংগঠন যেভাবে অগোছালো হয়ে পড়ছে তাতে এটা না করে উপায় ছিল না। এছাড়া দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ায় সমস্যাটিতে বাড়তি ইন্ধন জুগিয়েছে। সেটাই আগে বন্ধ করা দরকার।’