বৃহস্পতিবার সকাল হতেই সিবিআই হানা দিল তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে। আজ গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাতেই সিবিআই গোয়েন্দারা পৌঁছেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের গৃহে। আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের দু’টি দল বের হয়। তাঁরা পৌঁছয় পাটুলিতে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাসভবনে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরাও। সকাল ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়ির সামনে পৌঁছন কয়েকজন সিবিআই অফিসার।
এদিকে বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন সিবিআই অফিসাররা। তারপর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। সিবিআই অফিসাররা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও আছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন বাপ্পাদিত্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং কলকাতা পুরসভার মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন এই তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। আজ তাঁর বাড়িতে এলেন গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন প্রেসিডেন্সি জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি–সিবিআইয়ের আনা অভিযোগের শুনানিও চলছে। সেখানে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন পার্থবাবু। সম্প্রতি নয়াদিল্লি থেকে পার্থর হয়ে সওয়াল করতে আসেন ইডিরই এক প্রাক্তন আইনজীবী। তাঁর দাবি ছিল, পার্থর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাই পার্থকে জামিন দেওয়া হোক। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগামীদিনে আদালতে চাপে পড়ে যাবেন। তাই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে এই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার বাবা দেখা করলেন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে, কী কথা হল?
এছাড়া গতকাল বাংলায় পা রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হুঙ্কার দিয়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই আজ, বৃহস্পতিবার সিবিআই হানা দিল তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। যা যা নথি চাওয়া হবে তা গোয়েন্দাদের দেখানো হবে। বাড়িতেই রয়েছেন বাপ্পাদিত্য। পার্থ ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শিক্ষা দফতরের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও প্রভাব খাটানো হতো কি না, টাকার বিনিময়ে নিয়োগের কথা তিনি জানতেন কি না— সবই বাপ্পাদিত্যর কাছ থেকে জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।