একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘সিপিআইএম–কংগ্রেস একটাও আসন পায়নি!’ আসলে বাম–কংগ্রেস ছাড়া বিধানসভা দেখে তিনি অবাকই হয়েছিলেন। তাই ৮ জুলাই বিধানসভার অন্দরে জ্যোতি বসুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। এখন বিধানসভায় বিরোধী হিসাবে বিজেপি জায়গা করে নিয়েছে। এবার বামেদের ‘মিস’ করছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাই তিনি বলেন, ‘বামেরা ছাড়া বিধানসভা ভাল লাগে না’। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের এই মন্তব্যে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের একাধিক সাফল্য তিনি তুলে ধরেন। সমালোচনা করেন বিরোধীদের। তিনি বলেন, ‘আজ সিপিআইএম নেই। তার প্রধান কারণ, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অপব্যবহার। আমরা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তৈরি করে গেলাম। আর বামেরা তার অপব্যবহার করল। আমি কংগ্রেস আমলে পঞ্চায়েত আইন তৈরি করেছি। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পাশ করেদিলেন। কিন্তু কার্যকর করলেন না। বাম সরকার এসে তা করল। কিন্তু তার অপব্যবহার করল। তাই আজ ওরা মুছে গিয়েছে। তবু বলব ওরা না থাকলে এই বিধানসভায় ভাল লাগে না। আমরা এসে থেকে ওদের দেখেছি। ওরা খারাপ ভাল যাই হোক, বিধানসভার সব নিয়ম ওরা জানে। তর্ক–বিতর্কে ওদের সঙ্গে অংশ নেওয়া যায়। কিন্তু এখন যাঁরা আছে, তারা কিছুই জানে না।’ পঞ্চায়েতমন্ত্রী নাম না করে বিঁধলেন বিজেপিকে।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সাফল্যের খতিয়ান বিধানসভায় তুলে ধরেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস এবং দুটো ঝড়ের (আমফান–ইয়াস) মধ্যে একজন পরিযায়ী শ্রমিকও না খেতে পেয়ে মারা যাননি। যেদিন তাঁরা এসেছে তার পরদিন থেকে ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। রোজ ২৫০ টাকা করে তাঁরা পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ১০ কোটি শ্রমিক কাজ পেয়েছেন। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা তাই বারবার ১০০ দিনের কাজে ১ নম্বর হয়েছি।’