আজ বুধবার সকাল থেকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠেছে। অফিস যাত্রীরা বেরিয়ে পড়েছেন। যেতে হবে গন্তব্যে। জেলা থেকেও নিত্যযাত্রীরা এসেছেন শহরে। ফলে বাস–ট্রাম–ট্রেনে করে সবাই অফিসের এবং অন্যান্য কাজের দিকে ছুটছেন। শিয়ালদা–হাওড়া থেকে শুরু করে ডালহৌসি–ধর্মতলায় ভিড় বাড়ছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই শহর কলকাতার রাস্তায় ভিড় দেখা যাচ্ছে। বেলা যত বাড়বে ভিড় তত বাড়বে। তাই আশঙ্কা থাকছে যানজটের। কিন্তু শহরে আসা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু মসৃণভাবে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি? এই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।
কেন এমন প্রশ্ন উঠছে? এদিকে শহর কলকাতাকে অনেকে বলে থাকেন ‘মিছিল নগরী’। কারণ এখানে মিটিং–মিছিল–সমাবেশ লেগেই থাকে। তার উপর উৎসব–পার্বণ থাকলে তো কথাই নেই। গাড়ি একচুলও এগোয় না। কাজের দিনে এমন অবস্থা হলে চরম বিরক্তি তৈরি হয়। নাজেহাল হতে হয় মানুষজনকে। গন্তব্যে পৌঁছতে যেমন বিলম্ব হয়, তেমনই নষ্ট হয় অনেকটা সময়। এককথায় দিনের কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজই সময়মতো শেষ করা যায় না। তাই ট্রাফিক আপডেট রাখা উচিত। আজ, বুধবার এখনও পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিকই রয়েছে। তবে এদিন শহরে রয়েছে পরপর তিনটি মিছিল। সেক্ষেত্রে যানজটের আশঙ্কা থাকছে।
বিষয়টি ঠিক কেমন হচ্ছে? আজ দুপুর ৩টে নাগাদ চৈতন্য গৌড়ীয় মঠ থেকে শুরু হবে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা। তারপর সেটি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, হাজরা রোড, শরৎ বোস রোড হয়ে এগিয়ে যাবে। তখন দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যানজট দেখা দিতে পারে বলে ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর। আবার বিকেল ৫টা নাগাদ আরও একটি মিছিল আছে। সেটি বাগবাজার স্ট্রিট, রাজবল্লভ পাড়া, শ্যামবাজার এলাকা দিয়ে যাবে ওই মিছিলটি। সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্র্যাবোর্ন রোড, টি–বোর্ড, ক্যানিং স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণীর মতো এলাকা দিয়ে যাবে আরও একটি মিছিল। সুতরাং উত্তর কলকাতায় যানজটের মধ্যে পড়তে পারেন অফিস ফেরত মানুষজন। তার জেরে রাত হয়ে যেতে পারে বাড়ি ফিরতে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আউটডোরে মাসে কতজন রোগী দেখতে হবে? নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে আজ জন্মাষ্টমী। তাই ব্যাপক ভিড় হবে উত্তর ২৪ পরগনার চাকলা এবং কচুয়া গ্রামে। এই দিনেই আবার বাবা লোকনাথের জন্মতিথি। তাই পুণ্যার্থীদের ভিড়ে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে যশোর রোড। এমনকী একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে কচুয়া ধামে যাওয়ার প্রধান রাস্তা টাকি রোডেও। ইতিমধ্যেই ভিড় বেড়েছে মধ্যমগ্রাম, সোদপুর রোড, ডাকবাংলো মোড়, চাঁপাডালি মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে। এটাই আরও বাড়বে। তাতে যানজট দেখা দেবে। তাই ওই রাস্তায় বাড়তি ভিড় ও যানজটের আশঙ্কা থাকছে। যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন ট্রাফিক পুলিশরা।