বাড়ি থেকে স্কুল বহু দূরে। বদলির আবেদনও করেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য হয় না। এনিয়ে সমস্যায় পড়ে যান শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে এবার শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে দূরত্বই অন্যতম মাপকাঠি। শিক্ষকদের বাড়ি ও স্কুলের দূরত্বই অন্যতম বিবেচিত বিষয়। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, দূরত্বের পরে বাকি বিষয়গুলি বিবেচনায় আসতে পারে।
এমনকী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে শিক্ষিকাকে বদলির নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসশ্রী পোর্টালের সহায়তায় তিনটি স্কুলের নাম দেবেন ওই শিক্ষিকা। শিক্ষাদফতরের নির্দেশকে কার্যত ভুল বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে কাকদ্বীপের ঢোলাহাট দক্ষিণ কাশিয়াবাদ শিক্ষানিকেতনে চাকরি করেন শিক্ষিকা আদিতি রায়। ২০১৯ সাল থেকে অসুস্থ তিনি। একদিকে দূরত্ব, অন্যদিকে অসুস্থ। স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেকারণেই বদলির আবেদন করেছিলেন তিনি। আশায় আশায় ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে। বদলির আবেদন খারিজ করে দেয় শিক্ষা দফতরের কমিশনার।এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। এবার শিক্ষাদফতরের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।