উত্তর কাশী সুড়ঙ্গ বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের পর রাজ্যে পা রেখেই কর্মসংস্থানের দাবিতে সরব হলেন সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিক মানিক তালুকদার। শুক্রবার দমদম বিমানবন্দরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও কাজ নেই। তাই কাজ করতে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। দিদিকে বলব, কাজ দিন। তখন পাশে দাঁড়িয়ে হাসছেন কোচবিহার জেলার তৃণমূলের অন্যতম নেতা পার্থপ্রতীম রায়।
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে ৪০ জন সহকর্মীর সঙ্গে আটকে ছিলেন মানিক তালুকদারও। গত মঙ্গলবার সুড়ঙ্গ বেরনোর পর ভর্তি ছিলেন ঋষিকেশ এইমস হাসপাতালে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ছাড়া পান। শুক্রবার বাগডোগরা হয়ে ফেরেন কোচবিহারের বাড়িতে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানিকবাবু বলেন, ‘ওখানে কত কোম্পানি, কত কাজ। এখানে কোনও কাজই নেই। আমি ওখানে ৩৪ হাজার টাকা বেতন পাই। এখানে কেউ দেবে? ছেলে বিএ পাশ করে বসে আছে। সরকারি, বেসরকারি কোনও চাকরিই নেই। কাজ না করলে সংসার চালাব কী করে? দিদিকে বলব একটা কাজ দিন। বাইরে যেতে চাই না।’
এর আগে একই কথা শোনা গিয়েছিল সুড়ঙ্গে আটকে পড়া হুগলির পাখিরা পরিবারের মুখেও। মানিকবাবুর বক্তব্যে রাজ্যে কর্মসংস্থানের করুণ চেহারাটা প্রকাশ্যে চলে এস বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের দাবি, কর্মসংস্থান না থাকায় অনেককেই বাধ্য হয়ে যে বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে তার জন্য ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পরিজনদের মধ্যেও। এতদিন শাসকের ভয়ে চুপ করে থাকলেও এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। তাদের দাবি, গোটা দেশে শিল্পায়নের যজ্ঞ চললেও পশ্চিমবঙ্গে তার কোনও চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় না। বাম জমানা থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিমুখ শিল্পপতিরা। তৃণমূল জমানাতেও তার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। যার মাসুল দিচ্ছে রাজ্যের যুব সমাজ।