একদিকে ইয়াসের ল্যান্ডফল, অন্যদিকে নদীগুলিতে ভরা কোটাল। একেবারে বিপর্যস্ত উপকূলবর্তী এলাকা। তবে আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল এবার আর আমফানের মতো অত বিপর্যয় হবে না মহানগরীতে। তবুও কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। গোটা শহর জুড়ে বুধবার সতর্ক ছিল পুলিশ প্রশাসন। কোথাও যাতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেব্যাপারে ময়দানে নেমেছিল পুলিশ, প্রশাসন। কিন্তু বুধবার বিকাল পর্যন্ত কলকাতা মহানগরীতে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। কলকাতায় এদিন ঝড়ের দাপটও সেভাবে ছিল না। তবে এসবের মধ্যেই এদিন টালিগঞ্জের প্রতাপাদিত্য রোডের উপর একটি গাছ উপড়ে যায়। একেবারে লাইটপোস্ট নিয়ে গাছটি উপড়ে পড়ে। একটি বাড়ির উপর কার্যত পড়ে যায় গাছের ডালপালা। এনডিআরএফের কর্মী, আধিকারিকরা দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়েন। বড় বিপদ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এনডিআরএফের টিম অত্যাধুনিক করাত দিতে গাছ কাটার কাজ শুরু করে দেন। দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেব্যাপারে চেষ্টা চালান তাঁরা।
তবে বাসিন্দাদের দাবি, এদিন সকাল থেকেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছিল। সঙ্গে ঝোড়়ো হাওয়া বইছিল। আচমকা গাছটা পড়ে যায়। মূলত মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার জন্যই বড় গাছটি এভাবে পড়ে যায়। তবে রাস্তায় লোকজন কম থাকার জন্য হতাহতের কোনও খবর নেই। প্রশাসনও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করে। অন্য়দিকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য এদিন শহরের একাধিক উড়ালপুলকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বেহালা থানার সামনে সেনাদেরও দেখা যায়।