আবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। আজ, শনিবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে একটি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় রেলের গা–ছাড়া মনোভাবকেই দায়ী করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। আর কড়া ভাষায় ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের জন্য কাদের গাফিলতি দায়ী সেটা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আজ, শনিবার মাদুরাই স্টেশনের কাছে ভারত গৌরব এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুন লাগে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা অন্তত ২০। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুনে বিধ্বস্ত ট্রেনটি একটি পর্যটন ট্রেন ছিল। সেটি মাদুরাই রেল স্টেশনের বাইরে বোড়ি লেনে দাঁড়িয়ে ছিল ঘটনার সময়। আহতদের মাদুরাইয়ের সরকারি রাজাজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নানা সময়ে ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এভাবে যাত্রীদের মৃত্যু হয়নি।
অন্যদিকে রেলের প্রাথমিক তদন্তে খবর, তীর্থযাত্রী–সহ ট্রেনটির একটি কামরার মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না হচ্ছিল। আর তা থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগে গোটা কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। কিন্তু তাতে যে দায় এড়িয়ে যাওয়া যায় না সে কথা নিজের টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষের উপর। টুইটে একদিকে যেমন তিনি মৃতদের পরিবার পরিজনদের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন তেমনই কড়া ভাষায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘তখন আমি মোহনবাগানে খেলতাম, এখন খেলছি ইস্টবেঙ্গলে’, বিস্ফোরক মন্তব্য বাবুলের
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? মাদুরাইয়ের ঘটনা নিয়ে আজ টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় তিনি লেখেন, ‘আবারও রেলে একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এবার মাদুরাইয়ে ট্রেনে আগুন লেগে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি নিহতদের পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আশা করি, যথাযথ তদন্ত করে শীঘ্রই কাদের গাফিলতি ছিল, সেটা চিহ্নিত করা হবে। মানুষের নিরাপত্তা এবং জীবন নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কবে আরও বেশি সজাগ এবং সতর্ক হবেন, জানতে পারি কি?’