আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলেছে ডব্লিউবিসিএসের মেন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় কলকাতা–সহ নানা জেলা থেকে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। তবে কলকাতা এসে থাকা এবং পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া বিস্তর ঝক্কির। কারণ কলকাতা শহরে থাকার খরচ বিপুল। তার সঙ্গে খাওয়া খরচ যোগ হলে তা বড় অঙ্ক হয়ে দাঁড়াবে। আর যাঁরা কলকাতা শহরেই থাকেন তাঁদের এসব ঝক্কি পোহাতে হয় না। এই পরিস্থিতিতে গ্রাম থেকে শহরে এসে থাকা–খাওয়া এককথায় বিলাসিতা। কিন্তু পরীক্ষা তো দিতেই হবে। তার জন্য যদি বাড়তি খরচ বহন করতে হয় সেটা চাপের। তবে এবার বিকল্প ব্যবস্থা করল একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা।
ঠিক কী সেই ব্যবস্থা? এদিকে গ্রামবাংলার বহু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে কলকাতা আসবেন। আর তার জন্য কয়েকদিন কলকাতায় থাকবেন। পরীক্ষা দেওয়া হয়ে গেলে ফিরে যাবেন। কিন্তু এখানে থাকা, খাওয়া এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতে বিস্তর সমস্যা হয়। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা সংখ্যালঘু, তাঁদের সমস্যা কমাতে এগিয়ে আসলো একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের উদ্যোগে কলকাতার নিউটাউনে হজ হাউসে বিনামূল্যে থাকা–খাওয়া এবং যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা এককথায় অভিনব। সেক্ষেত্রে আর থাকা–খাওয়ার জন্য বিপুল খরচ করতে হবে না এবং সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
বাকিরা ব্রাত্য কেন পরিষেবা থেকে? এই কাজের নেপথ্যে রয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। তিনি ওই চ্যারিটেবল ট্রাস্টকে বলেছিলেন পরীক্ষার জন্য একটা উদ্যোগ নিতে। তখন ওই চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হজ হাউসের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি ঠিক করে। সেখানে যে জায়গা পাওয়া গিয়েছে তাতে সবাইকে রাখা সম্ভব নয়। তাই সংখ্যালঘু পরীক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হয়। কারণ তাঁরা সংখ্যায় কম। তবে পরের বছর থেকে সবার জন্যই থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে পড়ল দার্জিলিংয়ে, তিস্তায় গড়িয়ে গেল গাড়ি, জলমগ্ন গ্রাম
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে ছেলে এবং মেয়েদের পৃথক থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেয়েদের সঙ্গে একজন অভিভাবককে থাকতে পারবেন। ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা www.nurtrust.org ওয়েবসাইটে নাম রেজিস্টার করে হজ হাউসে থাকা–খাওয়ার পরিষেবা নিতে পারবেন। ওই চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সূত্রে খবর, পরীক্ষার্থীদের অসুবিধের কথা মাথায় রেখে এই বছর তাড়াতাড়ি করে এমন আয়োজন করেছে। তাই আপাতত সংখ্যালঘুদের জন্য এই বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে সব পরীক্ষার্থীর জন্যই এই ব্যবস্থা করা হবে।