বেহালায় খুদে সৌরনীলের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সকাল থেকেই পুলিশি তৎতপরতা ছিল চোখ পড়ার মতো। বিভাজনে অভিযোগ দূর করতে সরকারি-বেসরকারি উভয় স্কুলের সামনেই পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা পার করিয়েছে পড়ুয়া এবং পথচলতি মানুষকে। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর পুলিশের নিস্ক্রিয়তার দিকে আঙুল তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই দুর্ঘটনার জন্য ‘সার্বিক বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত সিস্টেমের দিকে আঙুল তুললেন।’
শনিবার এই ঘটনার নিয়ে টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘বাচ্চাটার ছবিটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই দায়ী। গোটা সিস্টেম দায়ী। আমরা একটা সার্বিক বিশৃঙ্খলায় অভ্যস্ত। একটা লরি বা দুজন পুলিশের দিকে আঙুল তুললে শেষ হবে না। এই পাপ আমাদের সবার।’
(পড়তে পারেন। বেহালায় খুদে পডুয়ার মৃত্যুতে ফিরল হুঁশ! সব স্কুলে সমান পুলিশ, ট্রাক চলাচলে রাশ)
শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর বেহালা চৌরাস্তার নিরাপত্তার ছবিটা কার্যত বদলে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যরিকেড । একাধিক জায়গায় মুভেবেল ড্রপগেট লাগানো হয়েছে। পুলিশি তৎতপরতায় সাধারণ মানুষ নিয়ম মেনে রাস্তা পার হচ্ছেন। মানুষের প্রশ্ন এই তৎপরতা যদি আগে থাকত তাহলে সৌরনীলের মতো ফুটফুটে শিশুকে ঝরে যেতে হতো না।
দুর্ঘটনার পর বড়িশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তা থাকে বেসরকারি স্কুলের জন্য। সরকারি স্কুলের সামনে কোনও পুলিশের দেখা মেলে না। যদিও ঘটনার পরের দিন সকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি সব স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
তাছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফুটপাথ দখল করে চলছে ব্যবসা। ফলে সাধারণ মানুষকে হাঁটার জন্য ফুটপাতের বদলে রাস্তাকেই ব্যবহার করতে হয়। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। এর আগেও ওই এলাকায় ছোটখাট দুর্ঘটনা হয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। এবার খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রশাসনের টনক নড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, এই তৎপরতা কতদিন বহাল থাকে সেটাই দেখার। তার পর কি আবার ‘সার্বিক বিশৃঙ্খলা’? সন্দিহান বাসিন্দারা।