কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে চাকরিতে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাঁকুড়ার বিধায়কের মেয়ে এবং চাকদহের বিধায়কের পুত্রবধূকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিআইডি। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বচ্ছ রাজনীতি, স্বচ্ছ প্রশাসনে বিশ্বাস করি। সারা ভারতবর্ষ সেভাবেই চলছে। এই ধরনের কোনও ঘোটালা হয় না। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত হোক। সত্যি বেরিয়ে আসবে।’ পাল্টা তাঁর কাছে এরকম লিস্ট রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আজ ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁকে রাজভবনের সামনে ‘নীল ডাউন’ করিয়ে রাখবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন , ‘যারা এতদিন নীল ডাউন করে এসেছে পুলিশের সামনে সেই দিনগুলো আমরা ভুলিনি। আমি পুলিশমন্ত্রী সম্পর্কে বলেছি। পুলিশের দম থাকলে জেলে ভরুক। তারা গিয়েছে সেই রাজ্যপালের কাছে, যে রাজ্যপালকে তারা উঠতে বসতে গালাগালি দেন? চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করেন, কটুক্তি করেন। তারা কতটা দুর্বল এতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’
অন্যদিকে, নূপুর শর্মার প্রসঙ্গ তুলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘নূপুর শর্মার কাছে যাচ্ছেন কেন? পশ্চিমবাংলায় আমাদের নেতাদের কাছে খোঁজ নিন। একজন বিধায়ক, সংসদ কি মন্তব্য করেছেন সেটা তুলে ধরুন।’ নূপুর শর্মাকে কলকাতা পুলিশের লুক আউট নোটিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানকার পুলিশ তৃণমূলের পুলিশ। সেই জন্য আমাদের কোন অভিযোগ নেয় না। এই পুলিশের ক্ষমতা আপনারা জানেন। তৃণমূল তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। এর জন্যই শত শত খুন হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে। না চার্জশিট জামা পড়ে না কেউ সাজা পায়। পুলিশ এখন তৃণমূলকে ভোটে জেতাতে আর বিরোধীদের জেলে পুড়তে ব্যস্ত।’