রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো রয়েছেই, তার মধ্যেও সৌজন্যতার নজির রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। রবিবার বিকেলে নিজেই টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এতে উদ্বিগ্ন গেরুয়া শিবির তথা দেশের রাজনৈতিক মহল। একইভাবে উদ্বিগ্ন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সন্ধেয় জে পি নড্ডার দ্রুত সুস্থতার কামনা করে মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন, ‘বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তিনি যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য এবং তাঁর সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। এই সময়ে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমার প্রার্থনা থাকল।’ উল্লেখ্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তাঁকে ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা।
উল্লেখ্য, দিন তিনেক আগেই বাংলা সফরে এসেছিলেন জে পি নড্ডা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া ভবানীপুরে দাঁড়িয়ে তিনি আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উৎখাত করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ভোটে যে বাংলায় এবার বিজেপি–ই জিতবে তা বারবার বলে এসেছেন নড্ডা। গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারেও। সেখানে তার কনভয়ে চলে হামলা। যা নিয়ে রাজ্য–কেন্দ্র সঙ্ঘাত চরমে। এতকিছুর পরও নিজের সৌজন্যবোধ বজায় রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক সঙ্ঘর্ষকে দূরে সরিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন গেরুয়া শিবিরের সভাপতির স্বাস্থ্য নিয়ে।
এদিকে, আপাতত বাড়িতেই নিভৃতবাসে আছেন জে পি নড্ডা। রবিবার বিকেলের দিকে হিন্দিতে একটি টুইটবার্তায় নড্ডা বলেন, ‘করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আমি টেস্ট করিয়েছিলাম এবং রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতেই নিভৃতবাসের যাবতীয় নিয়মকানুন পালন করছি। আমার অনুরোধ, গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নিজেদের আলাদা পরীক্ষা করিয়ে নিন।’
আর এতে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়বে বঙ্গ বিজেপি–তে। কারণ গত বুধবার বাংলায় এসেছিলেন জে পি নড্ডা। দু’দিনের সফরে ভবানীপুর ও ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন বিজেপি–র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়–সহ রাজ্যের একাধিক বিজেপি নেতার পাশাপাশি অসংখ্য আমজনতা।