এমফিল ডিগ্রি নিয়ে নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্য়েই মঞ্জুরি কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, এই ডিগ্রির আর কোনও বৈধতা নেই। সেকারণে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করছে তাদের এই নয়া নীতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এখানেই প্রশ্ন, তবে কি কেন্দ্রের জারি করা নিয়ম মানবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর?
রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই ফতোয়া মানব না। এখানে আমাদের বিশেষজ্ঞরা যা বলেছেন সেই গাইডলাইন মেনে চলা হবে। কার্যত এমফিল নিয়ে রাজ্য তার অবস্থানে অনড় থাকবে সেটাই কার্যত জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিকে মঞ্জুরি কমিশনের তরফে আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই এমফিল ডিগ্রি কোর্সের বৈধতা আর থাকছে না। এটা বাতিল করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা নতুন করে যাতে আর সমস্যায় না পড়েন সেকারণে আর কেউ যাতে এই পাঠক্রমে ভর্তি হতে না পারেন সেকারণে সতর্ক করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে কেউ যাতে এই কোর্সে ভর্তি না হন সেব্যাপারে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে এই ধরনের কোর্স চালানো না হয় সেটা বলা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই ফতোয়া মানব না। এখানে আমাদের বিশেষজ্ঞরা যা বলেছেন সেই গাইডলাইন মেনে চলা হবে।
কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশ যদি কোনও রাজ্য অমান্য করে, মানতে না চায় তবে কেন্দ্রীয় সরকার কী করবে? সেই সংক্রান্ত ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।
ইউজিসির তরফে অবশ্য় বলা হয়েছে, এমফিল কোনও স্বীকৃত ডিগ্রি নয়। ২০২৩-২৪ থেকে এই কোর্সে ভর্তি নেওয়া বন্ধ করে দিক বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়াদের এমফিল কোর্সে ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মাস্টার অফ ফিলোজফি বা এমফিলকে আগেই অবশ্য অবৈধ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমফিলে ভর্তি করা হচ্ছিল বলে খবর। কিন্তু রাজ্য সরকার অবশ্য় কেন্দ্রের ফতোয়া মানবে না বলে খোলাখুলিই জানিয়ে দিয়েছে।