পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্লাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোনা। এখন প্রশ্ন উঠছে এই সমস্ত টাকা এবং সোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে। কী হবে এত পরিমাণ সম্পত্তির ভবিষৎ? তাই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই টাকা লিজার লিস্টে দেখানো হয়েছে। ফলে আপাতত এখন তা আদালতের হেফাজতেই থাকবে। তবে সেগুলি মজুদ থাকবে ইডির মালখানায়। সেক্ষেত্রে ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে এই টাকা আপাতত রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই অর্পিতার দুটি ফ্লাট থেকে এই পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে ইডি আধিকারিকদের অনুমান, আরও প্রচুর পরিমাণে টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলি সন্ধানের জন্য পার্থ এবং অর্পিতা জেলে থাকাকালীনই আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিতে পারেন আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে ওই টাকা ট্রাঙ্কবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তবে পরবর্তী সময় এই টাকা ইডির নিজস্ব লকার বা ভল্টে রাখা হতে পারে। যেহেতু এই পরিমাণ টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাই সিজার লিস্টে যেমন অর্পিতার নাম রাখা হয়েছে, তেমনি প্রাথমিকভাবে এই টাকার মালিকানা অর্পিতার বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্পিতার বিরুদ্ধে যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত সেই টাকা ইডির কাছেই থাকবে।
সে ক্ষেত্রে যদি অর্পিতা টাকার মালিকানা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে সুদ সহ সেই টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হবে। আর যদি তিনি তা প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। অর্থাৎ এই টাকার ভবিষ্যৎ কই হবে তা মামলার নিষ্পত্তির পরেই ঠিক হবে। মামলাতে যদি অর্পিতা প্রমাণ করতে না পারেন যে এই টাকা তার তাহলে সে ক্ষেত্রে ওই পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তা সরকারের বলেই বিবেচিত হবে।