১০ ফুট লম্বা লোহার তারের জালের বেড়া দেওয়া হচ্ছে আদি গঙ্গার উপর ৩০টি সেতুতে। প্ল্যাস্টিক ও অন্যান্য অবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে এই উদ্যোগ। আদি গঙ্গার উপর বেশ কিছু সেতুতে ইতিমধ্যেই এই তারের বেড়া দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এখনও বেশ কয়েকটি সেতুতে কাজ চলছে।
গতবছর কালীঘাট ও বাশদ্রোনীতে কালীতলা সেতুতে তারের বেড়া দেওয়ার কাজ হয়ে গিয়েছে। ডিএল খান রোডে ধনধান্য সেতুতে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। মাস খানেক আগে টালিগঞ্জে করুণাময়ী ব্রিজ ও চেতলা সেন্ট্রাল রোডে শহিদ যতীন দাস সেতু তারে বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কালীঘাট ব্রিজের উপর দেওয়া বেড়ায় নীল-সাদা রঙ করার কাজ চলছে।
কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট বাবলু সিং বলেন,'প্রায়শই দেখা যায় গাড়ি থামিয়ে আদি গঙ্গা উপর অবর্জনা ফেলতে। তা অবশ্য অধিকাংশ সময় ফলই হয়। কিন্তু সব সময় তো আর নজরদারি রাখা যায় না। তারের বেড়া দেওয়া ফলে ওভাবে আর কেউ ময়লা ফেলতে পারবে না।'
গত বছর আদিগঙ্গা সংস্কারের জন্য জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির পরামর্শ দেয়। সেই কমিটি কলকাতা পুরসভা ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাকে আদি গঙ্গার ব্রিজগুলিকে মানুষের সমান উঁচু বেড়ার জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
(পড়তে পারেন। শিয়ালদা স্টেশনে যাতায়াতের জন্য তৈরি হচ্ছে ৪টি লেন, থাকছে কোচ রেস্তোরাঁ)
গড়িয়ায় ধলুয়া সেতুতে বেড়া দেওয়ার পাশাপাশি কঠিন আবর্জনাকে আটকানোর জন্য সেতুর নীচে আদি গঙ্গা বরাবর মাছের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিষ বসু।
পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত মনে করেন এতেও কী আদি গঙ্গার দূষণ আটাকানো যাবে? তাঁর কথায়, 'আদি গঙ্গার দূষণ আটকাতে আমি নদীর দু'পাড়ে তারের বেড়া দেওয়ার কথা বলেছিলাম। সে সব এখনও কিছু করা হয়নি।'