বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Jadavpur student death: গলার নলির ওপর পা তোলা উচিত, বলছেন যাদবপুর অভিযুক্তকে চড় মারা মহিলা আইনজীবী

Jadavpur student death: গলার নলির ওপর পা তোলা উচিত, বলছেন যাদবপুর অভিযুক্তকে চড় মারা মহিলা আইনজীবী

সেই আইনজীবী। নিজস্ব ছবি।

সোমবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে তোলার জন্য ১২ জন ধৃতকে আলিপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় আইনজীবী রমা দাস এবং প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত দাঁড়িয়েছিলেন। তখন ওই আইনজীবী ওই পড়ুয়ার পিঠে চড় মারেন এবং টেনে তার মুখের মাস্ক খুলে দেন।

যাদবপুর কাণ্ডে ধৃতদের আদালতে তোলার সময় মারধর করার অভিযোগ উঠল। এজলাসে ঢোকার ঠিক আগেই এক মহিলা আইনজীবী ধৃত এক পড়ুয়াকে মারধর করে।  ওই মহিলা আইনজীবীর নাম রমা দাস। তিনি ধৃত পড়ুয়া সত্যব্রত রায়ের পিঠে কষিয়ে চড় মারেন। সোমবার ধৃতদের আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে এই ঘটনা ঘটেছে। একজন বিচারাধীন বন্দিকে এভাবে মারধর করায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তাতে ক্ষান্ত হননি আইনজীবী। তাঁর কথায়, ‘মারার সুযোগ পেলাম না, না হলে আরও ফেলে মারতাম।’ 

আরও পড়ুন: যাদবপুরের ধৃতদের বিরুদ্ধে লাগু হল পকসো ধারা, নাবালক ছাত্রের মৃত্যুর জের

সোমবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে তোলার জন্য ১২ জন ধৃতকে আলিপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতে পেশ করা হয়। সেই সময় আইনজীবী রমা দাস এবং প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত দাঁড়িয়েছিলেন। তখন ওই আইনজীবী ওই পড়ুয়ার পিঠে চড় মারেন এবং টেনে তার মুখের মাস্ক খুলে দেন। তখন অন্যান্য আইনজীবীরা তাঁকে বাধা দেন। যদিও আইনজীবী হাতের সুখ মেটাতে পারেন নি বলেই পরে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযুক্তদের গলার নলির ওপর পা তুলে দেওয়া উচিত।’ ধৃতের গায়ে হাত তোলার কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধৃতের গায়ে হাত তুলেছি। উত্তেজিত হয়েই হাত তুলেছি তার গায়ে। মারতে সুযোগ পেলাম না, না হলে আরও ফেলে মারতাম। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করার জায়গা এটি নয়। সমাজ কি বলে দিয়েছে, মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা করবে। অন্যায়কে মানা যাবে না।’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, যাদবপুরে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি থাকা সত্ত্বেও কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটল? 

জানা গিয়েছে, এর আগে ওই ধরনের কাণ্ড করেছেন ওই আইনজীবী। দেবযানী বণিক খুনের মামলায় অভিযুক্তদের একইভাবে আদালত চত্বরে তিনি মারধর করেছিলেন। সেকথাও তিনি নিজে মুখে জানান। যদিও অন্যান্য আইনজীবীদের দাবি, তাঁরা র‍্যাগিংয়ের মতো ঘটনাকে সমর্থন করেন না। কিন্তু আবার বিচারাধীন বন্দিকে মারধর করাটাও কেউ সমর্থন করেন না। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ৩ তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেই ঘটনায় র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এরপরে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বন্ধ করুন