রাতের শহরে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধরের জেরে মৃত্যু হল এক কিশোরের। রড দিয়ে পেটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই কিশোরকে কোপানোর অভিযোগ উঠল। গুরুতর আহত অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ট্যাংরার দেবেন্দ্র রোডে নৃশংস এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। শুক্রবার রাত ১ টা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালির ট্যাংরা পোস্ট অফিসের কাছে দেবেন্দ্র রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম মহম্মদ সোনু (১৬)।
শিয়ালদহ বাজারে সবজির ব্যবসা করত ওই কিশোর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে। তবে কীভাবে ওই কিশোরের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ। তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে ঘর থেকে বের হন সোনু। তখনই তাকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ওই কিশোর। তারপরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরের মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল চত্বরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই কিশোরকে ধাওয়া করে ধরে মারধর করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নাইট কার্ফু চলাকালীন কেন এত রাতে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়েছিল সোনু? যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, শিয়ালদহের সবজি বাজার থেকে সবজি কিনে বিক্রি করার জন্যেই রোজ রাত ১ টা, দেড়টা নাগাদ ঘর থেকে বের হতেন।