সন্দেশখালি-বনগাঁয় ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার রাজ্যে এলেন তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। দুর্নীতি মামলায় এই ধরনের হামলার ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলতে নির্দেশ দিলেন তিনি। বনগাঁ-সন্দেশখালির ঘটনার পর তাঁর এই বার্তায় ইডি কর্মী ও আধিকারিকদের মনোবল বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার মাঝরাতে কলকাতায় পা রাখেন রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দু’দফায় বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের শেষে হাসপাতালে গিয়ে তিনি জখম ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর তিনি রাজভবনে যান। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও দেখা করেন। ঘটনার পর যে ভাবে রাজ্যপাল হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকদের দেখার জন্য। তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান রাহুল নবীন।
সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠকের সময় ইডির ডিরেক্টর মন দিয়ে আধিকারিকদের বক্তব্য শোনেন। বনগাঁ ও সন্দেশখালির মতো ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি এই ধরনের পরিস্থিতি আধিকারিকদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য ‘ভোকাল টনিক’-ও দেন ইডির ডিরেক্টর। এছাড়া রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান তিনি।
সূত্রে খবর, তিনি জানতে চান এখনও রেশন দুর্নীতি মামলা কী অবস্থায় রয়েছে। তাঁকে আধিকারিকরা জানান, এই মামলায় জ্যোতিপ্রিয় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তিকে যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁরা এই ধরনের তল্লাশি অভিযানের ক্ষেত্রে ফের হামলার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ইডি আধিকারিকরা। তখন তিনি বলেন, হামলার মুখে পড়লে ‘জিরো টালারেন্স’ নীতি নিতে হবে।
তদন্তকারী আধিকারিকদের সমস্ত বক্তব্য শোনার পর রাহুল নবীন, আধিকারিকদের নিরাপত্তায় থাকা সিআরপিএফ, সিআইএসএফ-এ আইজিদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আগামী দিনে কী ভাবে বনগাঁ-সন্দেশখালির মত ঘটনা রোখা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিন তিনি অন্যান্য মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অভিযুক্তরা নানা ফাঁদ পেতে রাখতে পারেন, সতর্ক ভাবে সেই ফাঁদ এড়িয়ে কাজ করতে হবে বলে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন ইডি-র ডিরেক্টর। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনও সমস্যা সন্মুখীন হলে কয়লা ও গরু পাচার দুর্নীতির মতো রেশন দুর্নীতির তদন্তও দিল্লিতে পাঠানো হতে পারে।