একটা সময় ছিল যখন দুই বাংলার যোগাযোগের মাধ্যম ছিল জলপথ। তখন অবশ্য বাংলা ভাগ হয়নি। দেশ ভাগের পর দু'দেশের মধ্যে জলপথে যোগযোগ ক্রমশ ক্ষীণ হয়। আবারও নতুন করে দুই বাংলার মধ্যে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করতে তৈরি হচ্ছে নদীবন্দর। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এই বন্দর তৈরি হয়েছে। এর ফলে শুধু বাংলাদেশ নয় ত্রিপুরা থেকেও পণ্য আদানপ্রদান আরও সহজ হবে।
লালগোলার ময়াগ্রামে পদ্মানদীর পারে তৈরি হচ্ছে এই বন্দর। ইতিমধ্যে এই বন্দর তৈরির কাজ পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। এই বন্দর তৈরি হলে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের উপরও চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এই বন্দর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
(পড়তে পারেন। সফল টানেল খনন, যুদ্ধকালীন গতিতে এগোচ্ছে বাংলা-সিকিম রেল প্রকল্পের কাজ)
(পড়তে পারেন। সস্তা হতে চলেছে ইলিশ মাছ, উৎসবের মরশুমে দেদার বিকোবে রূপোলি ফসল)
লালগোলার নয়াগ্রামে এই বন্দর তৈরির কাজ জোর কদমে চলছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সুতালগঞ্জে তৈরি হচ্ছে এর সংযোগকারী বন্দর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে কয়লা, বালি পাথর ও ছাই-সহ বিভিন্ন সামগ্রী আদানপ্রদান হবে এই বন্দরের মাধ্যমে। এতদিন এই পণ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে রেলপথ বা সড়কপথ ব্যবহার করা হত। এবার তা জলে পথেও আদানপ্রদান করা হবে।
স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে এই জলপথ তৈরি হলে লালগোলার অর্থনীতিও আরও উন্নত হবে। পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। ২০১৫ সালের এই বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা। ২০১৮ সালের মার্চে দুদেশের পক্ষ থেকে জমি ও নদী প্রদর্শন করা হয়। এই বন্দরের সম্ভাবনা কতটা তা খতিয়ে দেখা হয়। এর ২০২২ সালের এপ্রিলে মৌ স্বাক্ষর হয়। ২৫ বিঘা জমির উপর ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বন্দরটি। এটি তৈরি বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরারও পন্য চলাচল সহজ হবে।