ানিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি ঘিরে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। তারই মাঝে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরেধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা হু হু করে নামতে পারে। নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে তাঁর দাবি, ১০০ তৃণমূল বিধায়ক এই দুর্নীতিতে এজেন্টের কাজ করেছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে শুক্রবার থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে চলছে সিবিআইয়ের তল্লাশি। তল্লাশি ঘিরে উঠে আসছে নানান ঘটনা। কখনও প্রসঙ্গে উঠছে, জীবনকৃষ্ণ সাহা কি পাঁচিল টপকে বেরিয়ে যেতে চাইছিলেন? কখনও আবার প্রসঙ্গে উঠছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পিছনের দিকের পুকুর থেকে উঠে আসা ৬ টি রহস্যজনক ব্যাগ। এই নিয়ে রাজ্যরাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘ আমি ওঁদের সঙ্গে (তৃণমূল কংগ্রেস) ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টি সম্পর্কে অনেকের থেকে আমার ধারণা বেশি। আমি বলেছিলাম, ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করছেন।’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই ১০০ জন বিধায়কের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, যে ১০০ জন তৃণমূল বিধায়কের কথা তিনি বলছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। শুভেন্দুর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে এই তৃণমূল বিধায়করা টাকা তুলেছেন।
( আরও এক মানহানির মামলায় খানিক স্বস্তি রাহুলের! অব্যাহতি কোর্টে স্থায়ী হাজিরা থেকে)
এখানেই শেষ নয়। শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি, ‘সব টাকা তাঁরা পাননি।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে’, তাঁর অভিযোগ, বাকি ৫-৬ লাখ টাকা ‘কেস পিছু নিজেরা রেখেছেন’। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরা রয়েছেন কারাবাসে। তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহারা। শুভেন্দু বলছেন,'অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন।' অভিযোগের সুর চড়া করে শুভেন্দু বলছেন,'উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে এক বিধায়ক আছেন, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে এক বিধায়ক আছেন, অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন।' কটাক্ষের সুরে শুভেন্দু বলেন,আগামী ছয় থেকে ৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০ তে নেমে যেতে পারে।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনা করি’ শুভনববর্ষে। কটাক্ষের সুরে শান্তনু সেন বলেন,' যাঁকে ক্যামেরায় প্রকাশ্যে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, যাঁর নাম সিবিআইয়ের এফআইআরএ রয়েছে… শুভেন্দুবাবু নিজের দলীয় বিধায়ক কতজন সেটাও বলতে পারবেন না। …' শুভেন্দুর দাবিকে শান্তনু ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেন।