দলের এক যুবনেতার দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব নাচক করে দেওয়ায়, সেই নেতা নিয়মিত তাঁকে মানসিক হেনস্থা করছেন। দলের একাংশকে দিয়ে তাঁকে নানা ভাবে মানসিক হেনস্থা করছেন। রাতে বাড়িতে চড়াও হওয়ার হেনস্থা করার অভিযোগ তুললেন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিল। রীতিমতো ফেসবুক লাইভ করে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এই নিয়ে নালিশ জানিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠিও পাঠিয়েছেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে তিনি অভিযোগ করেছেন, এলাকায় দলের একাংশ এলাকায় তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর প্রতিবাদ করাতেই, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে । পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, তাঁর নাম করে নানা ভাবে তোলা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর তিনি প্রতিবাদ জানালে তাঁকে তোলার বখরা হিসাবে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে রাজি হননি। তাঁর আরও অভিযোগ, পুরসভার অন্তর্গত খাস জমিও দখল করা হচ্ছে। তিনি ফেসবুকে প্রদীপকুমার দে নামে এক তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে এই অভিযোগ করেছেন।
কাউন্সিলাররের অভিযোগ, গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলায় চালায় দলেরই একাংশ। সেই ভিডিয়ো তিনি উচ্চ নেতৃত্বের কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর। এ নিয়ে স্থানীয় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাকেও চিঠি দিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি বাড়ি থেকে বেরোলেই তাঁকে, 'বেশ্যা, যৌনকর্মী'-সহ নানা অশালীন কটুক্তি করা হচ্ছে।
ফেসবুক লাইভেই তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবনেতা তাঁকে এককালে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের আক্রমণ শুরু হয়।
এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও ও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুব নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।