মাস ছয়েক আগেই অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, আগামী ১০ বছর বিজেপির মিঁয়া ভোটের কোনও দরকার নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওরা নাবালিকা বিবাহ থেকে দূরে না যাবেন, ওরা যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে না পাঠাবেন ও মৌলবাদ থেকে ওরা যতক্ষণ না দূরে যান ততক্ষণ পর্যন্ত ওদের ভোটের দরকার নেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
প্রসঙ্গত মূলত অসমে বাংলাভাষি মুসলিমদের মিঁয়া বলে ডাকা হয়। তাদের বেশিরভাগই পূর্ব পাকিস্তান( বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে এসেছিলেন অসমে।
গত বছর অক্টোবর মাসে তিনি বলেছিলেন, যখন ভোট আসে তখন আমরা তাদের বলি যে আমাদের ভোট দেওয়ার দরকার নেই। যদি আপনারা পরিবার পরিকল্পনা মেনে চলেন,শিশু বিবাহ উৎসাহ না দেন, তবে আপনারা ভোট দিতে পারেন আমাদের। এটা সম্পূর্ণ হতে আমাদের আরও ১০ বছর সময় লাগবে। ১০ বছর পরে আমরা তাদের কাছ থেকে ভোট চাইব।
চলতি বছরে মার্চ মাসে তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা ওখান থেকে( ধুবড়ি) থেকে জিততে চাই না। তারা মালা দিক অথবা আমার সমালোচনা করুন না কেন, আমরা ওখান থেকে জিততে চাই না। আমি ওখানে প্রচার করার জন্যও যাব না।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সব বদলে গেল। তিনি প্রথমবারের জন্য় ধুবড়িতে গেলেন। অন্তত তিনটি সভা করেন তিনি। গৌরিপুর, বিলাসিপাড়া, ও গোলকগঞ্জে সভা করেন তিনি। গোলকগঞ্জের সভায় তিনি বলেন, এজিপি ও বিজেপির সমর্থনে আমি প্রচুর উৎসাহ দেখলাম। মানুষ বুঝতে পারছেন যে আজমলের ( এমপি) সময় চলে যাচ্ছে। রাকিবুল( কংগ্রেস প্রার্থী)কেও তাদের প্রয়োজন নেই।
কংগ্রেস প্রার্থী হুসেন বলেন, এখন তিনি আবার ধুবড়িতে আসছেন। কারণ বিজেপি আর AIUDF এর মধ্য়ে একটা গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। কিন্তু তিনি ভোটারদের বোকা বানাতে পারবেন না।
AIUDF এর সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকি আলি ঠাকুরিয়া জানিয়েছেন, মুখ্য়মন্ত্রী এর আগে বলতেন যে তাঁর মিঁয়া ভোটের দরকার নেই। সেই তিনিই এখন তাঁদের ভোট চাইতে যাচ্ছেন। সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন এখন বর্তমান সরকারকে একটা যোগ্য জবাব দিতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত অসমে মুসলিম প্রধান যে সমস্ত আসন রয়েছে তার মধ্য়ে ধুবড়ি হল অন্যতম। সেই ২০০৯ সাল থেকে এখানে বদরুদ্দিল আজমল জিতে আসছেন। প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ভোটার রয়েছে এখানে। এবার এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে।