নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার ঘোষণা সোমবার রাতেই করেছে কেন্দ্র। তারপর থেকেই রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের একটা বড় অংশ মেতেছেন উৎসবের মেজাজে। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের রণদামামা যখন বেজে গিয়েছে তখনই এই আইন চালুর বিজ্ঞপ্তি সামনে এনেছে মোদী সরকার। বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘ভোটের আগে এটা চালু করে দিল… এখনও তো মানুষ নাগরিক হননি। ভোট তাহলে কোন অধিকারে নিচ্ছে? নাগরিকত্ব এখন দেওয়া হবে নাকি ভোটের ফলাফলের পর? সেটা কেউ জানে না।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার সিএএ আইন পাশ করে সংসদে। তবে সেই আই কবে লাগু হবে, তা নিয়ে ছিল জল্পনা। কিছুদিন আগেই, মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, ভোটের আগেই চালু হবে সিএএ। যদিও পরে তিনি সেটিকে ‘মুখ ফসকে’ বলে ফেলার কথা হিসাবে তুলে ধরেন। তবে তারপর ১১ মার্চ কেন্দ্রের তরফে আসে সারা দেশে সিএএ লাগু হওয়ার কথা। মূলত ২০১৯ সালে মোদী সরকার যে আইন পাশ করেছিল, তাতে ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চায় তবে তাঁদের তা দেবে ভারত। এরপর, লোকসভা ভোট ২০২৪ এর ঠিক আগে এই সিএএ আইন চালু করল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, সিএএর বিল পাশের ৪ বছর পর এই আইন লাগু হল।
এদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘আমাদের হাতে বিজ্ঞপ্তি আসুক। যদি দেখি নিঃশর্ত নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে, তাহলে ভালো কথা। যদি সেটা না থাকে তাহলে আন্দোলনে নামব।’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, নিঃশর্তভাবে নাগরিত্ব ঘোষণা করতে হবে, সেক্ষেত্রে শর্ত হিসাবে কোনও নথি চাওয়া যাবে না বাইরের দেশ থেকে আসা মানুষদের থেকে। আর শর্ত আরোপিত হলেই তিনি আন্দোলনের রাস্তায় নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। মমতাবালা প্রশ্ন তুলছেন, আইন পাশের এতদিন পর কীভাবে তা লাহু করা যায়? কোনও আবেদন পূরণ করতে গেলে কোনও নথি দিতে হবে কি না, তা দেখা হবে বলে বার্তা দিয়ে মমতাবালা বলছেন, ‘ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর যে নথি রয়েছে… ’, আমাদের কাছেও তা আছে। মমতাবালার বার্তা, ‘তাঁরা যদি এদেশের নাগরিক হন, তাহলে আমরাও তাই।’