জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার আবাসিক কোচিং সেন্টার। দক্ষিণ পূর্ব দিল্লিতে সেই সেন্টারকে ঘিরেই নতুন করে স্বপ্ন বুনেছিলেন অনেকে। এবার সেই স্বপ্ন সফল। কঠিন পরিশ্রম আর অধ্য়াবসায় জেরে সফল হয়েছেন এখানকার অন্তত ৩১জন পড়ুয়া।
আর সেই সেন্টার থেকে এবার অন্তত ৩১জন পড়ুয়া সফল হয়েছেন। ইউপিএসসি পরীক্ষা। বিশ্বের অন্য়তম কঠিন পরীক্ষা বলে গণ্য করা হয় এই পরীক্ষাকে। আর সেই পরীক্ষায় এবার বিরাট সফল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার আবাসিক কোচিং সেন্টারের অন্তত ৩১জন।
গত বছরের তুলনায় অন্তত ৮জন বেশি সফল হয়েছেন এবার। ২০১০ সালে তৈরি হয়েছিল এই সেন্টার। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার আবাসিক কোচিং সেন্টার। মূলত এসসি, এসটি ও সংখ্য়ালঘুদের জন্য় এই আবাসিক কোচিং সেন্টার। সব মিলিয়ে সেন্টারের ৭১জন পড়ুয়া এই ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। তার মধ্য়ে ৩১জন শেষ পর্যন্ত পাশ করেন। তার মধ্য়ে ১১জনই মহিলা। নওসীন অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছে। তিনি নবম স্থানে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চতুর্থবারের চেষ্টায় আমি পাশ করেছি। অত্যন্ত খুশি আমি। তিনি জানিয়েছেন স্বপ্নকে বড় করে দেখার জন্য় বার বার আমার অভিভাবকরা বলতেন।
তিনি জানিয়েছেন, এখানে বিনা পয়সায় কোচিং পেয়েছি। আর তাতেই সাফল্য পেয়েছি আমি। প্রচুর পড়াশোনা করেছি। তার সঙ্গেই সিনিয়ররা যেভাবে সহায়তা করেছেন তাতে অনেকটাই লাভবান হয়েছে।
সমাজের দুর্বল জায়গা থেকে পড়ুয়াদের তুলে নিয়ে এসে এখানে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়। আর তাতে ফলও মেলে হাতে নাতে। নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। মক টেস্ট করা হয়। সিনিয়ররা নতুন ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেয়। সেমিনার রুম আছে। সেখানে বিশেষত ছাত্রীরা যখন খুশি পড়তে পারেন। লাইব্রেরির সুবিধা রয়েছে। সেটা কার্যত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।
একটা সময় এটা চালাত ইউজিসি। পরবর্তী সময় ফান্ডিং বন্ধ হয়ে যায়। ১৬ মাস ধরে এই কোচিং চলে। পড়ুয়াদের কোচিং করার জন্য় কিছু লাগে না। তবে থাকার জন্য ও খাবারের জন্য় তাদের টাকা দিতে হয়। তবে যারা এখানে পড়াশোনা করার পরেও পাশ করতে পারেন তারা যাতে অন্য় কোনওভাবে জীবনে দাঁড়াতে পারেন তার জন্যও উৎসাহ দেওয়া হয়। এককথায় অনেকের কাছে ভরসা এই সেন্টার।
এদিকে জামিয়া মিলিয়ার এই সাফল্যকে অনেকের নজর কেড়েছে। গোটা দেশ জুড়ে চর্চা হচ্ছে এই সেন্টারকে ঘিরে।