দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে গত ৬ নভেম্বর থেকে। এই কাউন্সেলিংয়ের প্রথম ৫ দিনে ডাকা হয়েছিল ৩০০০ প্রার্থীকে। তবে তার মধ্যে অনুপস্থিত থাকলেন ৩০০ জন প্রার্থী। নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন প্রার্থীরা। তারপর কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার পরেও কেন এত জন অনুপস্থিত থাকলেন? তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রার্থীদের মতে, এই অনুপস্থিতির সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিংয়ের প্রথম দিনে সম্মতিপত্র পেলেন ২৬৬ জন, অনুপস্থিত ৩৫
এই ৫ দিনে যাদের কাউন্সেলিং হয়েছে তাদেরকে সম্মতি পত্র দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আবার এত সংখ্যক প্রার্থী অনুপস্থিত থাকায় ৩০০–এর বেশি শূন্য পদ তৈরি হওয়ারও আশা করছেন অন্যান্য প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকায় নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জন প্রার্থীর। তার মধ্যে ৯ হাজার প্রার্থীর কাউন্সেলিং হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর চলবে পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং। যদিও এসএসসির আধিকারিকদের বক্তব্য, এই সংখ্যক পড়ুয়াদের অনুপস্থিত হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। তবে তা মানতে নারাজ প্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য, উচ্চ প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর দীর্ঘ সময় ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এখনও নিয়োগ হয়নি। তারওপর কাউন্সিলিংয়ে সুপারিশ পত্র দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র কোন স্কুল বেছে নিতে পারবেন প্রার্থীরা? তা জানানো হচ্ছে। তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় থেকে যাচ্ছে। আবার বহু প্রার্থী অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। এসব কারণে তারা কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত হননি। এসএসসির এক আধিকারিক জানান, চাকরিপ্রার্থীদের যখন ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল তখন তারা জানিয়েছিলেন, কেউ পিএইচডি করছেন আবার কেউ নেট পাশ করেছেন। তাদের মধ্যে আবার কেউ অন্য চাকরি করছেন।
এখনও ৪ হাজারের মতো প্রার্থী অপেক্ষারত রয়েছেন। তবে এতজন অনুপস্থিত থাকে ৩০০ বেশি শূন্যপদ তৈরি হবে বলে মনে করছেন প্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য, সাধারণ ক্যাটাগরির কোনও মহিলা প্রার্থী অনুপস্থিত থাকলে সে ক্ষেত্রে দুটো শূন্য পদ তৈরি হয়। একজন পুরুষ চাকরি প্রার্থী অনুপস্থিত থাকলে একটি শূন্যপদ তৈরি হয়। আবার যদি সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী হন তাহলে সে ক্ষেত্রে তিনি যদি সাধারণ প্রার্থীর সমান নম্বর পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ৪টি শূন্য পদ তৈরি হয়। একইভাবে সংরক্ষিত পুরুষ প্রার্থী হলে সে ক্ষেত্রে দুটি শূন্যপদ তৈরি হয়। এর ফলে ১ হাজারের বেশি শূন্যপদ তৈরি হতে পারে বলে আশা করছেন প্রার্থীরা। তার ফলে অপেক্ষমানরত আড়াই হাজারের মতো প্রার্থী ডাক পেতে পারেন।