রাজ্যের বিভিন্ন আবিষ্কারকে এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাংলা জুড়ে নানারকম আবিষ্কার হয়ে চলেছে । একটু খোঁজ করলে দেখা যাবে সেই আবিষ্কারের অনেকগুলিই হয়তো অসাধারণ। আগে কখনও হয়নি। সেই আইডিয়া জানতে পারলে অনেকেরই উপকার হবে হয়তো। এবার তাই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটকে বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)।
আইপিআর সেল (IPR cell) জিনিসটা কী?
যেকোনও আবিষ্কৃত জিনিসের একটি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (Intellectual property rights) বা আইপিআর থাকে। না থাকলে তা থাকা উচিত। যারা অফিসিয়ালি গবেষণা করেন, তারা নিয়মিত এই ধরনের রাইটের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কোনও চাষি যদি চাষের নতুন উপায় বার করেন? সেসব জানার উপায় কোথায়! এবার এর জন্যই তৎপর হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সারা বাংলা জুড়ে একরকম ট্যালেন্ট হান্ট চলবে এবার। আগে আবিষ্কৃত হয়নি এমন কিছু পেলেই তার পেটেন্টের আবেদন করা হবে। তার জন্যই তৈরি হল আইপিআর সেল।
(আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের আগে শিক্ষকদের তথ্য যাচাই করবে পর্ষদ! নির্দেশ না মানলে কড়া ব্যবস্থা)
সংঘাতের মাঝেই এল টাকা!
ভিসি নিয়োগ ও সিন্ডিকেট বৈঠকের অনুমতি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংঘাত চলছে রাজ্য সরকারের। আইপিআর সেল তৈরি করতে অর্থ সাহায্য এল রাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে। আবার কেন্দ্রীয় প্রজেক্ট রুসা ২.০-র মাধ্যমেও এই সেলকে অর্থ জোগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কলেজ স্ট্রিটের শতবার্ষিকী ভবনের সাত তলায় দুটি ঘর নিয়ে আপাতত শুরু হচ্ছে আইপিআর সেল।
নিজের অন্দরের খবরই জানে না CU
শুধু মাঠে ঘাটের অজানা আবিষ্কার নিয়ে আগ্রহী নয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সুপ্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিভাগে শয়ে শয়ে গবেষণা হয়েছে এতদিন। ইতিমধ্যে অনেক আবিষ্কারও হয়েছে। কিন্তু এতকাল সেই সব গবেষণা, প্রকাশনা, আবিষ্কারকে এক করে কোথাও রাখা হয়নি। ফলে এসব বিষয়ে আগ্রহীরা তা জানতে পারেন না। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষও তা জানার সুযোগ পান না।
(আরও পড়ুন: দানবের মতো বিশাল ‘রেড স্প্রাইট’ ধরা দিল বিজ্ঞানীর ক্যামেরায়, আদতে কী ওটা)
কী বলছে সেল?
সেলের কোঅর্ডিনেটর লাইব্রেরি সায়েন্সের অধ্যাপক সবুজকুমার চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মণি-মুক্তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । সে-সবই এই সেলে থাকবে। পাশাপাশি অধ্যাপক-গবেষকদের গবেষণাপত্র, আবিষ্কৃত পেটেন্টও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানা র্যাঙ্কিংয়ে এগুলি দরকারি।