এমবিএ-র যোগ্যতা পরীক্ষা ক্যাটে মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন ইশিকা গুপ্ত। তাঁর এই সাফল্যের রহস্য ও মনের মধ্যে থাকা আফসোসের কথা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন। বর্তমানে দিল্লির নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গণিত এবং কম্পিউটারে বিটেকের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী ইশিকা। পেয়েছেন ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল। বিটেক সম্পন্ন হলেই এমনিএতে ভর্তি হবেন তিনি। ফল প্রকাশের পর সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'একটা দুর্দান্ত মুহূর্ত অনুভব করছি। তবে প্রথম তিন আমি একমাত্র মহিলা প্রার্থী হওয়ায় একটা আফসোসও রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক মেয়েকে এই ধরনের সর্বভারতীয় পরীক্ষাগুলির শীর্ষ স্থানে দেখতে চাই।’
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেন, 'ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কারণে আমার প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যিক কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই। গণিত এবং কম্পিউটিং, আমি উভয়ই অধ্যয়ন করেছি কিন্তু এখন আমি বুঝতে পারি যে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আমার দক্ষতা সম্পর্কেও শিখতে হবে। এই MBA কোর্সের মধ্যে দিয়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পারব এবং এটাই আমার কেরিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করবে।’ দিল্লির দ্বারকা এলাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠেন ইশিকা। দ্বারকার ম্য়াক্সফোর্ড স্কুল থেকে দশম শ্রেণি এবং দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে দ্বাদশ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তি হন কলেজে। তরুণীর বাবা পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এবং তার মা একজন শিক্ষিকা। তিনি পরিবার থেকে এই বিষয়ে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
CAT-র জন্য প্রস্তুতি কী ভাবে নিলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গত বছরের অক্টোবর থেকে CAT-র প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি নিতাম। আমাকে সোমবার থেকে শুক্রবার কলেজে যেতে হত, তাই যখনই কলেজ শেষ হত, কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে আমি নিয়মিত ভাবে ক্যাট প্রস্তুতিতে কিছুটা সময় ব্যয় করতাম। CAT-র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে মক টেস্ট তাকে প্রচুর সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন ইশিকা। আপাতত আইআইএমএস - আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু এবং কলকাতার মধ্যে কোনও একটাতে পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্যাটের রেজাল্টের পর আপাতত চলছে ভর্তি হওয়ার ইন্টারভিউ। অনেকে আবার পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করছেন। খুব বেশি জটিল না করে একশোটা জায়গায় টিউশন না পড়ে বেসিকস কনসেপ্টসগুলি যদি ঠিক রাখা যায় এবং তারপর ধারাবাহিক ভাবে মক টেস্ট দিয়ে যদি নিজেদের প্রস্তুতিটা ঝালিয়ে নেওয়া যায়, তাহলেই সাফল্য আসবে, এমনটাই উঠে আসছে ইশিকার কথা থেকে।