করোনা আবহে যখন একের পর এক পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে, তখন জুলাইতেই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির পরীক্ষা নিতে চায় বলে সুপ্রিমকোর্টকে জানাল দ্য ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া বা আইসিএআই। উল্লেখ্য সিএ পরীক্ষা ৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা। ৮৪৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষার জন্যে বসবেন। জুলাইতে পরীক্ষা করানোর নেপথ্যে আইসিএআই-এর যুক্তি, দেশে করোনা সংক্রমণ এখন কমছে।
উল্লেখ্য, জুলাইতে সিএ পরীক্ষা নেওয়া আইসিএআই-এর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনটি পিটিশন দাখিল হয়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সোমবার মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক বা জুলাইতে পরীক্ষায় বসতে যে পরীক্ষার্থীরা অনিচ্ছুক তাদের জন্যে বিকল্প ব্যবস্থা করা হোক। তবে এই দাবি মানতে নারাজ আইসিএআই। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টে একটি শর্টনোট জমা করা হয় ইনস্টিটিউটের তরফে।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টে এম খানউইলকর, দীনেশ মহেশ্বরী এবং অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ আইসিএআই-এর নোটটি ফাইল করার অনুমতি দিয়ে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আগামী দিন হিসেবে ধার্য করে। এদিকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদনকারীরা হলেন শিশউ সুরক্ষা কর্মী শ্রীবাস্তব সাহাই, সত্য নারায়ণ পেরমলের নেতৃত্বে ২২ জন পরীক্ষার্থী, অমিত জৈনের নেতৃত্বে ১৭ জন পরীক্ষার্থী। আইসিএআই-কে এই আবেদনকারীর প্রস্তাবিত বদল বিষয়ে জানাতে বলেছে সুপ্রিমকোর্ট।
আবেদনকারীরা পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিবহণের মতো দাবি সামনে রেখেছে। তবে তাঁদের মূল দাবি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া বা কেউ যদি পরীক্ষা দিতে না যায়, সেই পরীক্ষার্থঈকে পরে আবার সুযোগ দেওয়া। তাছাড়া একান্তই যদি পরীক্ষা হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্র বদলের সুবিধার দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্যে বিনামূল্যে টিকাকরণ, বিনামূল্যে কোভিড এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবিও উত্থাপিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অবশ্য আইএসআই-এর বক্তব্য, 'আজ পর্যন্ত গত কয়েকদিনে গড়় সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৮ হাজার। এই সংখ্যা দিনকে দিন কমছে। এটা পরীক্ষআ নেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।'