ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্কের প্রস্তাব অনুযায়ী, এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সিবিএসই। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নবম এবং দশম শ্রেণিতে ইংরেজি, অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ওপেন বুক টেস্ট করানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিবিএসই। এছাড়া একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজি, বায়োলজি এবং অঙ্কের ওপেন বুক পরীক্ষা করানোর কথা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে এই পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব দিয়ে পড়ুয়া, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মতামত জানতে চেয়েছে সিবিএসই। (আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার গরমিল, জি প্রতিষ্ঠাতা সুভাষচন্দ্রকে জেরা করতে পারে SEBI, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: বাইজুসে কোণঠাসা বাইজু, শেয়ারহোল্ডারদের হাত থেকে পেলেন 'সাময়িক স্বস্তি'
এর আগে ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত নবম এবং একাদশ শ্রেণিতে ওপেন বুক পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের মূল্যায়নের পরীক্ষা চালিয়েছিল সিবিএসই। তবে সেই সময় পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা এই নিয়ে নেতিবাচক মত প্রকাশ করেছিলেন। তবে ফের একবার এই ধরনের মূল্যায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই ওপেন বুক টেস্ট হতে পারে। এদিকে সিবিএসই আধিকারিকরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ড পরীক্ষার ক্ষেত্রে ওপেন বুক পদ্ধতি চালুর কোনও পরিকল্পনাই নেই তাদের।
এদিকে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পড়ুয়াদের বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার বিকল্প প্রদান করা হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, পড়ুয়াদের ওপর থেকে পড়াশোনার চাপ কমাতেই এই পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া ২০২০ সালে গৃহীত জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসরণ করেই বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান ধর্মেন্দ্র প্রধান। মন্ত্রীর কথায়, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিল। পড়ুয়ারা যাতে অ্যাকাডেমিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পায়, তাই সেই কথা বলা হয়েছিল। তিনি জানান, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি, উভয় ক্ষেত্রেই দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা হতে পারে।
গত বছরের অগস্টে শিক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা ঘোষিত নিউ কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে, শিক্ষার্থীদের ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ নিশ্চিত করতেই বছরে অন্তত দুবার বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই পরীক্ষার মধ্যে যে পরীক্ষায় তারা বেশি ভালো মার্কস পাবে, সেটাকেই প্রাপ্ত মার্কস হিসেবে ধরা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা জেইই-র ক্ষেত্রেও বছরে দু'বার পরীক্ষা হয়। পড়ুয়ারা যাতে এটা না ভাবেন যে তাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে, তার জন্যেই দু'বার বোর্ড পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে পড়ুয়াদের কাছে সুযোগও বাড়বে। একটা পরীক্ষা খারাপ হলেও পরের পরীক্ষায় তা শুধরে নিতে পারবেন তারা। নয়া পদ্ধতিতে কোনও পড়ুয়া যদি মনে করে যে সে পুরোপুরিভাবে তৈরি আছে আর প্রথম পরীক্ষায় যে নম্বর তুলেছে সেটাই ঠিক আছে তবে তাকে আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই। অর্থাৎ, বছরে দু'বার পরীক্ষা হলে যে দু'বারই পরীক্ষা দিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতাও থাকবে না।