জি এন্টারটেনমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সুভাষচন্দ্রকে জেরা করতে পারে সেবি। এমনই দাবি করা হল ইকোনমিক টাইমসের এক রিপোর্টে। পাশাপাশি জি-এর বর্তমান ম্যানেজিং ডিরেক্টর পুনীত গোয়েঙ্কাকেও জেরা করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, জি-এর কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সেবি। সেই তদন্ত এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হবে। সেই তদন্তের অংশ হিসেবেই সুভাষ এবং পুনীতকে জেরা করতে পারে সেবি। এর আগে গত বছর জুন মাসে সেবি দাবি করেছিল জি-এর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০০ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। তবে জি-এর তরফ থেকে এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল সিকিউরিটিজ আপিলেট ট্রাইবুনালে। পরে সেবির তরফ থেকে ট্রাইবুনালকে জানানো হয়, তারা আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে তদন্ত চালাচ্ছে জি-এর বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: লাল ফিতের জট কাটিয়ে আরও দ্রুত গতিতে ছুটবে রকেট, বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের)
আরও পড়ুন: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হাতিয়ার '৩৯২.৮৩', ডিএ-র দাবিতে আজ কর্মবিরতিতে সরকারি কর্মীরা
এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জি এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে ২৪১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২০০০ কোটি টাকার গরমিল খুঁজে পেয়েছে সেবি। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জি-এর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪১ মিলিয়ন ডলার 'উধাও'। এবং সেই অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বৈধ নথি পায়নি সেবি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই সোনির সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সংযুক্তিকরণ চুক্তি ভেঙেছে। যদিও ফের একবার সেই চুক্তি বাস্তবায়নের জন্যে নাকি দুই সংস্থা আলোচনার টেবিলে বসেছে। তবে এরই মধ্যে সেবির তদন্তের জেরে আরও বিপাকে পড়তে পারে জি মিডিয়া।
উল্লেখ্য, মার্জার সম্পন্ন হলে নয়া সংস্থার অধীনে থাকত ৭০টি চ্যানেল। তবে এই মার্জার আর হবে না। সোনির তরফ থেকে জি-কে চুক্তি বাতিলের চিঠি পাঠানো হয় কয়েকদিন আগেই। শুধু তাই নয়, চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে জি-এর থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণেরও দাবি করা হয় সোনির তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, এর আগেই এই সংযুক্তিকরণ চুক্তির থেকে ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল জি-এর বিরুদ্ধে। সেবি এই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। এরই মাঝে আবার সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, সোনি-জি চুক্তিতে ২০০ কোটি নয় বরং ১০০০ কোটির তছরুপ করেছে জি এন্টারটেনমেন্ট। আর এবার দাবি করা হল, ১৯৯৮ কোটি টাকার গরমিলের খোঁজ পেয়েছে সেবি। এই আবহে জি-এর শীর্ষ কর্তা পুনীত গোয়েঙ্কা এবং জি-এর কর্ণধার সুভাষ চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাবে সেবি। এছাড়া পুনীতের ওপর জরিমানা ধার্য করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে রিপোর্টে।
যদিও জি কর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে খারিজ করেছে সংস্থা। এই বিষয় জি-এর মুখপাত্র বলেন, 'অ্যাকাউন্টে গরমিল সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ভুয়ো। সিকিউরিটি আপিল ট্রাইবুনালের নির্দেশে জি-এর শীর্ষ কর্তারা আগেই স্বস্তি পেয়েছিলেন। সেবি আমাদের কাছ থেকে যা যা জানতে চাইছে, আমরা তা সবই জানাচ্ছি এবং সেই সংক্রান্ত নথিও পেশ করেছি। আমরা সেবিকে পূর্ণ সহযোগিতা করছি।'