বন্ধ হয়ে যাবে দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট। শুরু হবে টিচিং লার্নিং। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নতুন সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করে বদলানো হবে পরীক্ষার সময়সীমাও। এই সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করতে বদলে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস। প্রায় ১১ বছর পর আসছে এই বড় বদল। সংসদ এও জানিয়েছে যে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে মোট চারটি ভাগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অর্থাৎ মোট ৪টি সেমেস্টার মিলিয়েই চালু হচ্ছে এই টিচিং লার্নিং পদ্ধতি।
উচ্চমাধ্যমিকের নতুন সিলেবাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
- জানা গিয়েছে, বাংলা বিষয়ের বইতে শ্রীজাতর কবিতা পড়ানো হবে।
- ইতিহাস বইয়ে থাকবে আধুনিক বা পোস্ট মর্ডান যুগের পাঠ্য বিষয়।
- সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI প্রযুক্তিও।
- দ্বাদশের পরীক্ষায় বসতে হলে কত নম্বর পেতে হবে
সংসদের নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী দ্বাদশের সেমেস্টারে বসার জন্য স্কুলগুলি আগে পড়ুয়ার একাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল ও থিয়োরি পেপারের নম্বরের দিকে চোখ রাখবে। ওই পেপারে নির্ধারিত করা থাকবে পাশ নম্বরও।
পরীক্ষায় বসার জন্য নম্বরের বিভাজন:
যে বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে না, সেক্ষেত্রে প্রজেক্ট দেওয়া হবে। প্রজেক্টের জন্য থাকবে ২০ নম্বর। আর দু'টি সেমেস্টারের জন্য ৪০ নম্বর করে ভাগ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর।
যে সমস্ত বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেগুলির নম্বর ভাগ করা হবে ৭০ ও ৩০ নম্বরে। থিওরির ৭০ নম্বর দুটি সেমেস্টার মিলিয়ে ৩৫ নম্বর করে ভাগ করে দেওয়া হবে।
মনে রাখবেন, এই নম্বর বিভাজনের মধ্যে কিন্তু শারীরশিক্ষা, মিউজিক ও ভিজুয়াল আর্টস অন্তর্ভুক্ত নেই।
পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের সময় সীমা:
সংসদ জানিয়েছে, পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের জন্য মোট ২০০ ঘণ্টা সময় ধরা হয়েছে।
- প্রথম সেমেস্টারের পঠন পাঠন হবে ১০০ ঘণ্টা ধরে।
- দ্বিতীয় সেমেস্টারে ৮০ ঘণ্টার পড়ানো হবে।
- রেমিডিয়াল, টিউটোরিয়াল ক্লাস ও হোম অ্যাসাইনমেন্ট ক্লাসের জন্য বরাদ্দ মোট ২০ ঘণ্টা।