ইতিহাস গড়লেন পঞ্জাবের ক্রিকেটার আনমোলপ্রীত সিং। প্রথম ব্যাটার হিসেবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সেমিফাইনাল বা ফাইনালে শতরান হাঁকালেন তিনি। সোমবার মোহালিতে বরোদার বিরুদ্ধে ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনালে ৬১ বলে ১১৩ রান করেন। শতরান হাঁকান মাত্র ৫৮ বলে। যিনি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাছাড়াও পঞ্জাবের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের উঠতি তারকা নেহাল ওয়াধেরা। মাত্র ২৭ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ২২৫.৯২। অন্যদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) খেলোয়াড় তথা পঞ্জাবের অধিনায়ক ২৩ বলে ৩২ রান করেন।
অথচ সোমবার ফাইনালে পঞ্জাবের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। প্রথম বলেই আউট হয়ে যান পঞ্জাবের তারকা ক্রিকেটার অভিষেক শর্মা। তাঁকে আউট করেন সোয়েব সোপারিয়া। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান প্রভসিমরন সিং। সাত বলে নয় রান করেন তিনি। সেইসময় পঞ্জাবের স্কোর ছিল ৩.২ ওভারে দুই উইকেটে ১৮ রান। তারপর পঞ্জাবের ইনিংসে হাল ধরেন আনমোলপ্রীত এবং মনদীপ। ইনিংস সামলানোর পাশাপাশি রানের গতিও বাড়াতে থাকেন। দু'জনের জুটিতে ৪১ বলে ৬২ রান ওঠে।
তবে পঞ্জাবের রানের গতি আসলে বৃদ্ধি পায় চতুর্থ উইকেটের জুটিতে। ১০.১ ওভারে মনদীপ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন নেহাল। মাত্র ৫৮ বলে আনমোল এবং নেহাল ১৩৮ রান যোগ করেন। তাঁদের জুটিতে ১২ তম ওভারের শেষ বলে ১০০ রান পার করে ফেলে পঞ্জাব। আর ১৯ তম ওভারের শেষ বলে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় তিন উইকেটে ২০২ রান। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৩ রান তোলে পঞ্জাব।
তারইমধ্যে ৫৮ বলে শতরান পূরণ করেন আনমোলপ্রীত। সেইসঙ্গে গড়ে ফেলেন ইতিহাস। ততক্ষণে ১০টি চার এবং চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলেছেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে যখন তিনি আউট হন, তখন আনমোলপ্রীতের স্কোর দাঁড়ায় ১১৩ রান (৬১ বল)। ১০টি চার এবং ছ'টি ছক্কা মারেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫.২৪। অন্যদিকে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন নেহাল। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ছ'টি চার এবং চারটি ছক্কায়। ২৩ বলে পূরণ করেন অর্ধশতরান।