পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপ ২০২৩ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। চরিথ আসালঙ্কা এবং সাদিরা সমরাবিক্রমের অর্ধশতক এবং মাথিসা পথিরানার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে উড়ে গেল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের সঙ্গে এশিয়া কাপ ২০২৩ এর অভিযান শুরু করল শ্রীলঙ্কা। তবে এই জয়ের ফলে একটি বড় রেকর্ড গড়ে ফেলেছে সমরাবিক্রমেরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি শ্রীলঙ্কার টানা ১১তম জয়। শ্রীলঙ্কা এখন টানা ১১টি ওডিআই জিতেছে, ওডিআই ক্রিকেট ইতিহাসে তাদের দীর্ঘতম জয়ের ধারা অব্যহত রেখেছে। এদিনের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট করে শ্রীলঙ্কা এবং পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ ওভারে সেটিকে অর্জন করে শ্রীলঙ্কা দল।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ উইকেটে আসালঙ্কা (৬৫ অপরাজিত, ৯২ বলে, পাঁচটি চার, একটি ছক্কা) এবং সমরাবিক্রমে (৫৪ রান, ৭৭ বলে, ছয়টি চার) এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৭৮ রান করে। ১১ ওভার বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ পকেটে তোলে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ছাড়া বাকি সব ব্যাটসম্যানই হতাশ করেছেন। ৭২.৯৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ইনিংসে ১২২ বলে ৮৯ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ইনিংসে ৭টি চারও মারেন তিনি। এটি ছিল তার ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস। তিনি এদিন মাত্র ১১ রানের জন্য তার দ্বিতীয় ওডিআই সেঞ্চুরিটি মিস করেন। ২০২৩ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে তিনি তার একমাত্র সেঞ্চুরি করেছিলেন।
শ্রীলঙ্কা চলতি এশিয়া কাপে তাদের অভিযানের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশকে পরাজিত করার ফলে ওয়ানডেতে তারা টানা ১১তম জয় পেয়েছে। একদিনের ক্রিকেটে এটি তাদের দীর্ঘতম জয়ের ধারা। তাদের আগের দীর্ঘতম ওডিআই জয়ের ধারা ছিল ফেব্রুয়ারি ২০০৪ থেকে ২০০৪ সালের জুলাই পর্যন্ত। যেখানে তারা ১০টি ম্যাচ জিতেছিল এবং ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে মে ২০১৪ এর মধ্যে তারা ১৩টি ম্যাচও জিতেছিল। জানুয়ারি ২০০৩ থেকে ২০০৩ এর মে পর্যন্ত টানা ২১টি ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এটি ওডিআইতে দীর্ঘতম জয়ের ধারা।