একেই বলে গোদের উপর বিষফোঁড়া। এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডে ভারতের কাছে লজ্জাজনক হারের পর, এবার আরও বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচে হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহকে সম্ভবত পাওয়া যাবে না। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচটি হয়তো মিস করতে পারেন দুই খেলোয়াড়ই। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান যদি ফাইনালে ওঠে, সেক্ষেত্রেও এই দুই প্লেয়ারের খেলা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তান রিজার্ভ বোলারদেরও দলে ডেকে নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কী করুণ হাল বাবদের! রাহুল-কোহলির পার্টনারশিপের চেয়েও ১০৫ রান কম করল পুরো পাক টিম
বৃষ্টির কারণে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি রবি এবং সোমবার মিলিয়ে খেলা হয়েছে। আর এই ম্যাচেই পাকিস্তানের দুই তারকা পেসারই চোট পান। রবিবারই রউফের পিঠের পেশিতে টান ধরায় তিনি অস্বস্তি অনুভব করেছিলেন। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে যে কারণে সোমবার তাঁকে খেলানো হয়নি। নাসিম শাহ আবার তাঁর বোলিং কাঁধে চোট নিয়ে রিজার্ভ ডে-তে ভারতের ইনিংসের ৪৯তম ওভার পর্যন্ত বলে করে যান। তবে এই দুই তারকাই এদিন ব্যাট করতে নামতে পারেননি। যে কারণে পাকিস্তানের ইনিংস এদিন ১২৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও অ্যাবসেন্ট হার্ট হয়েছিলেন দুই তারকা। আর ভারত এতে ২২৮ রানে বড় জয় ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: কলম্বোর কিং কোহলি- একই মাঠে টানা চারটি সেঞ্চুরির নজির, হাসিম আমলাকে ছুঁলেন বিরাট
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে যে, তাদের ব্যাট করতে না পাঠানোর সিদ্ধান্তটি পুরোটাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু ওডিআই বিশ্বকাপ শুরুর আগে আর এক মাস সময়ও পুরোপুরি বাকি নেই, তাই পাকিস্তান তাদের তিন জন প্রধান ফাস্ট বোলারের মধ্যে দু'জনকে নিয়ে কোনও রকম বাড়তি ঝুঁকি নিতে চায়নি। কারণ পাকিস্তানের পাখির চোখ এখন একটাই , ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়। সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা এই দেশে আসবে। তার আগে কোনও রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট করতে রাজি নয়।
পাকিস্তানের জন্য এই ম্যাচটি সব দিক থেকেই খুব খারাপ গিয়েছে। তাদের দুই তারকা চোটের কবলে পড়ার পাশাপাশি ভারতের কাছে বাজে ভাবে হেরেছে পাকিস্তান। ভারত রবি এবং সোমবার মিলিয়ে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫৬ রান করেছিল। বিরাট কোহলি (১২২) এবং কেএল রাহুল (১১১) সেঞ্চুরি হাঁকান। রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে। এবং তাদের ইনিংস ১২৮ রানে গুটিয়ে যায়।