ভারতের হাতে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে লজ্জায় মুখ পোড়াল পাকিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত দু'দিন ব্যাপী ম্যাচে ২২৮ রানের বিশাল বড় ব্যবধানে হেরে বসলেন বাবর আজমরা। কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা, শুভমন গিলের হাফসেঞ্চুরি দিয়ে শুরু হয়েছিল, তার পর বিরাট কোহলি আর কেএল রাহুলের দাপুটে জোড়া সেঞ্চুরিতে পাক বোলাররা চোখে শর্ষেফুল দেখেন। শেষ পাতে কুলদীপ যাদবরে ভেল্কি! মাত্র ১২৮ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
এদিন পাকিস্তান দলের হাল এতটাই করুণ ছিল যে, তাদের দশ জন ব্যাটার মিলেও কোহলি এবং রাহুলের করা তৃতীয় উইকেটে ২৩৩ রানের পার্টনারশিপের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি। রাহুল-কোহলির পার্টনারশিপের চেয়েও ১০৫ রান কম করে পুরো পাকিস্তান দল। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছেন ফখর জামান। বাকিদের হাল আরও তথৈবচ।
আরও পড়ুন: কলম্বোর কিং কোহলি- একই মাঠে টানা চারটি সেঞ্চুরির নজির, হাসিম আমলাকে ছুঁলেন বিরাট
রবিবার বৃষ্টির জেরে ভারতীয় ইনিংসের ২৪.১ ওভারের পর আর খেলা সম্ভব হয়নি। তবে যেখানে রবিবার খেলা শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই সোমবার রিজার্ভ ডে-তে ম্যাচ শুরু হয়। তবে এ দিনও বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত সময়ে দুপুর ৩টেতে শুরু করা যায়নি খেলা। খেলা শুরু হয় বিকেল ৪.৪০ মিনিটে। স্যাঁতস্যাঁতে উইকেটে সাবধানে শুরু করেছিলেন কোহলি এবং রাহুল। অন্য দিকে কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। এমনিতেই হ্যারিস রউফ চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় কিছুটা চাপেই পড়েছিল পাকিস্তান। তাদের সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন কোহলি এবং রাহুল। দুই তারকা মিলে তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ২৩৩ রান যোগ করেন।
আরও পড়ুন: হার্দিকের ইন-সুইং না বুঝতে পেরে ভেবলে গিয়ে বোল্ড হলেন বাবর- ভিডিয়ো
কোহলি অপরাজিত থাকেন ১২২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে। হাঁকান ৯টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রাহুল শেষ পর্যন্ত করেন অপরাজিত ১১১ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২টি চার এবং ২টি ছয়। যা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ। ভারতের ২ উইকেটে ৩৫৬ রানও এক দিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ স্কোর।
৩৫৭ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম উল হক (৯) এবং অধিনায়ক বাবরকে (১০) হারানোর পরেই নামে বৃষ্টি। ইমামকে ফেরান জসপ্রীত বুমরাহ। বাবরকে বোল্ড করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ভারতের ভাগ্য ভালো যে, বৃষ্টি দ্রুত থেমে গিয়ে ফের খেলা শুরু হয়। আর খেলা শুরু হতেই প্রথম ওভারেই শার্দুল ঠাকুর আউট করেন মহম্মদ রিজওয়ানকে (২)। পাকিস্তান ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর খেলার রাশ ভারতের হাতেই চলে এসেছিল।
এর পর কুলদীপের জাদুতে পাকিস্তানের বাকি ব্যাটারদের প্রতিরোধ একেবারে তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে। ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন কুলদীপ। প্রসঙ্গত, চোটের কারণে পাকিস্তানের হ্যারিস রউফ এবং নাসিম শাহ ব্যাট করতে নামতে পারেননি। তাঁরা অ্যাবসেন্ট হার্ট ছিলেন। তবে যাইহোক সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন দাপুটে জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে ভারতের।