হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। শেষ দু'ওভারে মাত্র ১২ রান বাকি ছিল শ্রীলঙ্কার। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। সেই পরিস্থিতি থেকে শাহিন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে এশিয়া কাপের ‘সেমিফাইনাল’-এ প্রত্যাবর্তন করে পাকিস্তান। তারপর শেষ ওভারের শুরুটা দুর্দান্ত করেন জামান খান। যিনি দু'রাত আগেও পাকিস্তানের এশিয়া কাপের দলে ছিলেন না। কিন্তু শেষ দুটি বলে ম্যাচ হাতছাড়া করে যায় পাকিস্তানের। তারপরই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন জামান। প্রায় কেঁদে ফেলেন পাকিস্তানের পেসার। তারইমধ্যে কিছুটা রেগে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। হাত দিয়ে কিছু দেখিয়ে নিজের উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এমনিতে বৃহস্পতিবার কলম্বোয় পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ম্যাচটা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছিল। ওই ম্য়াচের উপরই নির্ভর করছিল যে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে কারা খেলবে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে সহজেই জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ৪১ তম ওভারে খেলা ঘুরিয়ে দেন শাহিন (৪২ ওভারের খেলা)। দু'ওভারে ১২ রান বাকি থাকা অবস্থায় মাত্র চার রান পাকিস্তানের তারকা বাঁ-হাতি পেসার। নেন দু'উইকেট। সেই পরিস্থিতিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য জয়ের জন্য আট রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। হাতে ছিল তিন উইকেট।
আরও পড়ুন: PAK vs SL-এশিয়া কাপে ফুটো হয়ে গেল পাকিস্তানের ফানুস, কার ওপর দায় চাপালেন বাবর
শেষ ওভারে জামানের হাতে বল তুলে দেন বাবর। প্রথম বলে এক রান হয়। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে এক রান হয়। চতুর্থ বলে রান-আউট হয়ে যান প্রমোদ মধুশন। অর্থাৎ দু'বলে ছয় রান দরকার ছিল লঙ্কাবাহিনীর। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে একমাত্র যে বিষয়টা ভালো, সেটা হল যে স্ট্রাইকে চলে আসেন চরিথ আসালঙ্কা। পঞ্চম বলটা অফস্টাম্পের বাইরে করেন জামান। ব্যাটের কাণায় লেগে বলটা বাউন্ডারিতে চলে যায়। এক বলে দু'রান বাকি থাকা অবস্থায় ডিপ স্কোয়ার লেগের দিকে বল ঠেলে শ্রীলঙ্কাকে একাদশতম এশিয়া কাপের ফাইনালে তোলেন আসালঙ্কা।
তারপরই পিচের মাঝামাঝি জায়গায় কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন জামান। তারইমধ্যে বাররের দিকে ক্যামেরা ঘুরে যায়। রীতিমতো বিরক্ত দেখায়। তিনি যে রেগে গিয়েছেন, তা মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। হাত দেখিয়ে কিছু বলতে থাকেন। তারপর কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাঁর মুখটা দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বলতে চাইছেন যে কিছু হবে না এদের দিয়ে। তারইমধ্যে জামানের মুখ একেবারে কাঁচমাচু হয়ে আসে। পিচের পাশে বসে পড়েন। প্রায় কেঁদে ফেলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন শাহিন। সেইসময় রুমাল দিয়ে চোখ মুছতেও দেখা যায় জামানকে।