টেস্ট জিতলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জেতা আর হল না ভারতীয় মহিলা দলের। টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখলেন হরমনপ্রীতরা। স্বাভাবিক ভাবেই সিরিজ হাতছাড়া হওয়াই নয়, সেই সঙ্গে হোয়াইট ওয়াশ হতে হল ভারতীয় মহিলা দলকে। ১৯০ রানে হারতে হল ভারতকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিচফিল্ডের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে বড় রানে দিকে এগিয়ে যায় অজিরা। বলা ভালো ভারতীয় বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেন অজি ব্যাটাররা। লিচফিল্ড করেন ১২৫ বলে ১১৯ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। ৮৫ বলে ৮২ রান করেন অজি অধিনায়ক। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্য়ে।
এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউই সেইভাবে বড় রান করতে পারেনি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিরা মাত্র ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান তোলে। যদিও এই ম্যাচে বল হাতে নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা। তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া আমনজ্যোত কৌর ২ উইকেট নেন। একটি মাত্র উইকেট নেন দীপ্তি শর্মা। এই উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি এবং ওডিআই ক্রিকেটে শততম উইকেট নিলেন। যদিও চতুর্থ বোলার হিসাবে শততম উইকেট নেওয়ার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন এই বঙ্গ অলরাউন্ডার। এদিন যদি ভারতীয় বোলাররা একটু ভালো বল করতে পারতেন, তাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্য হতেই পারতো। যদিও তা হয়নি, কারণ হিলি এবং লিচফিল্ডের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ভারত। যশতিকা মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান। এমনকী স্মৃতি মন্ধানা বড় রান করতে পারেননি। মাত্র ২৯ রান করে যান। গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা রিচা ঘোষও তেমন কিছু করতে পারেননি এদিন। এই বঙ্গ সন্তান মাত্র ১৯ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। কেউই অর্ধশতরান করতে পারেননি। এমনকী ৫০ রানের ধারে কাছেও কেউ জায়গা করে নিতে পারেননি। এক কথায় বলতে গেলে বোলাররাও যেমন ব্যর্থ হয়েছেন এদিন। ঠিক তেমনই ব্যাটাররাও পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতীয় মেয়েদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় মহিলা দল। বল হাতে তিন উইকেট নেন জর্জিয়া।