বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই পড়ল ১৫ উইকেট! এই দিনে শাকিব আল হাসানের ক্লাবে জায়গা করে নিলেন তাইজুল ইসলাম। টেস্টে ১৫০-এর বেশি উইকেটের শিকার করলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন শাকিব আল হাসান। মিরপুরের মন্থর পিচে প্রত্যাশিতভাবেই দাপট দেখালেন দুই দলের স্পিনাররাই। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৯টি উইকেটই ভাগাভাগি করে তুলে নিয়েছেন কিউয়িদের তিন স্পিনার। মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস ও এজাজ প্যাটেল নিয়েছিলেন ৯টি উইকেট।
অন্যদিকে, এদিন নিউজিল্যান্ডের পাঁচটি উইকেটও শিকার করেছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার। মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের দখলে গেছে পাঁচটি উইকেট। বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ঘূর্ণিঝড় মিগজিউমের প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকায় এদিন শুরু থেকেই খেলা হয়েছে ফ্লাডলাইটের আলোতে। কৃত্রিম আলোর নীচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রীতিমতো চাপে ছিলেন। নিউজিল্যান্ড স্পিনারদের সামনে তারা যেন খাবি খাচ্ছিলেন। মাত্র ১৭২ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস।
স্কোর বোর্ডে অল্প রানের পুঁজি নিয়ে স্পিনকে হাতিয়ার করে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা থামার আগে ১২.৪ ওভারে ৫৫ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। কিউয়ি দল এখনও ১১৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মিরাজের হাত ধরে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। টাইগার এই অলরাউন্ডারের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ঠিক বুঝতে পারেননি ডেভন কনওয়ে। ছেড়ে দেওয়া বল সোজা স্টাম্পে গিয়ে আঘাত করে। মিরাজের পর উইকেট শিকারে নামেন সিলেট টেস্টের নায়ক তাইজুল ইসলাম। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি টম ল্যাথামের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পিছনে। সেখানে দারুণ ক্যাচ তালুবন্দী করেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। পরপর দুই ওভারে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় কিউয়িরা।
দলের ৩০ রানের মাথায় নিউজিল্যান্ডের বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফেরেন হেনরি নিকোলস। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ ছেড়ে মারতে গিয়েছিলেন নিকোলস। ঠিকঠাক ব্যাটে সংযোগ করতে পারেননি। মিড অনে দারুণ ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। মাত্র ১ রানেই ফেরেন তিনি। এরপরে কেন উইলিয়ামসনকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৪ বলে ১৩ রান করে শাহাদাত হুসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। এরপরে টম ব্লানডেলকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।
এ দিন দুটো উইকেট নিতেই শাকিব আল হাসানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশ ক্রিকেটের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ উইকেট শিকারি বোলার হয়েছেন তাইজুল। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ১৫১টি উইকেট। শাকিব আল হাসান ১৫৯ উইকেট শিকার করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজ। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৯৪টি উইকেট। এরপরেই রয়েছে মহম্মদ রফিকের নাম। তিনি ৬৬টি উইকেট শিকার করেছেন।