শেষমেশ সম্ভাবনাটাই সত্যি হতে চলেছে। শেষ ইনিংসে বাংলাদেশের স্পিন জালে জড়িয়ে আত্মসমর্পণ করেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটাররা। সিলেটের প্রথম টেস্টে জয়ের দোরগোড়ায় নাজমুল হোসেন শান্তরা।
বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩১৭ রানে। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৭ রানের সংক্ষিপ্ত লিড নেয় কিউয়িরা। দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২১২ রান তোলে। তার পর থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৩৮ রানে।
ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯৮ বলে ১০৫ রান করে আউট হন। এছাড়া মুশফিকুর রহিম করেন ৬৭ রান। ১১৬ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার মারেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৬ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে মোমিনুল হক ৪০, শাহাদত হোসেন ১৮, জাকির হাসান ১৭, নুরুল হাসান ১০ ও শরিফুল ইসলাম ১০ রানের যোগদান রাখেন। আজাজ প্যাটেল ১৪৮ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ইশ সোধি নেন ৭৪ রানে ২টি উইকেট। টিম সাউদি ও গ্লেন ফিলিপস ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন।
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৩২ রানের। কিউয়িরা চতুর্থ দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১৩ রান তুলেছে। সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের দরকার আরও ২১৯ রান। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন মোটে ৩টি উইকেট।
শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে কার্যত একা লড়াই চালান ডারিল মিচেল। তিনি চতুর্থ দিনের শেষে নট-আউট থাকেন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। ৮৬ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন। ডেভন কনওয়ে ২২ রান করে আউট হন। ৭৬ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ১১ রান করে আউট হন কেন উইলিয়ামসন।
খাতা খুলতে পারেননি টম লাথাম। হেনরি নিকোলস ২, টম ব্লান্ডেল ৬, গ্লেন ফিলিপস ১২ ও কাইল জেমিসন ৯ রান করে আউট হন। ৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইশ সোধি। তাইজুল ইসলাম ৪০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শোরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নইম হাসান।