শুভব্রত মুখার্জি- ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআইয়ের মূল স্পন্সর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছে বাইজুস। প্রধানত শিক্ষা এবং টেকনোলজির মিশেল ঘটিয়ে 'এডটেক' কোম্পানি হিসেবে ভারতে নিজেদের ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছিল বাইজুস। এই কোম্পানির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের যে চুক্তি হয়েছিল তা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও চুক্তিবাবদ যে অর্থ বিসিসিআইয়ের পাওয়ার কথা তা এখন ও মেটায়নি এই কোম্পানি। ফলে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে এনসিএলটিতে অর্থাৎ জাতীয় কোম্পানি ল ট্রাইবুনালে কেস করা হয়েছিল বিসিসিআইয়ের তরফে। তারপরেই বাইজুসের তরফে বিসিসিআইয়ের প্রাপ্য টাকা অর্থাৎ ১৬০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বাইজুসের থেকে এই ১৬০ কোটি টাকা বিসিসিআই দীর্ঘদিন ধরেই পায়। প্রায় ছয় মাস হয়ে গিয়েছে বাইজুস একটি টাকাও বিসিসিআইকে দেয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই এনসিএলটিতে কেস করেছে বিসিসিআই। বাইজুসের তরফে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কথাবার্তা চলছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই আমরা আশা করছি।’ বাইজুসের সঙ্গে বিসিসিআই যে গাঁটছড়া বেঁধেছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০২২ সালের মার্চ মাসেই। তারপরে এই চুক্তি বাবদ টাকা ধাপে ধাপে বিসিসিআইকে মিটিয়ে দিলেও ১৬০ কোটি টাকা এখনও বিসিসিআইয়ের পাওনা হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিসিসিআই এবং বাইজুসের চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বিসিসিআইয়ের তরফে নতুন মেন স্পন্সর না পাওয়া পর্যন্ত বাইজুসকেই অনুরোধ করা হয় মেন স্পন্সর হিসেবে থেকে যেতে। জুন মাসে বাইজুসের তরফে এই জার্সি স্পন্সরশিপের চুক্তি ফের নবীকরন করা হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এটা নবীকরন করা হয়। এবার চুক্তির অঙ্ক দাঁড়ায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার। বোর্ড চেয়েছিল যাতে করে বাইজুস ডিসেম্বর পর্যন্ত থেকে যায়। এই সময়ে বাইজুসও আর্থিক সমস্যায় পড়ে। তাদের স্টাফদের মাইনে সময় মতো দিতে না পারার সমস্যা সামনে চলে আসে। তার মধ্যেও অবশ্য কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে তারা তাদের সমস্যা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই মিটিয়ে নিতে চায়।