রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হলেই প্রত্যেকের জন্য বিএমডব্লিউ গাড়ি। সঙ্গে দলের জন্য কোটি টাকা। হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার প্রধান জগন মোহন রাও আগেভাগে এমনই লোভনীয় পুরস্কার ঘোষণা করে রাখলেন তিলক বর্মাদের জন্য। বরং বলা ভালো যে, এভাবেই তিনি হায়দরাবাদের ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তিনি পর্যাপ্ত সময়ও দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। এমনটা নয় যে, পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হলে তবেই মিলবে এমন পুরস্কার। বরং আগামী ৩ বছরের মধ্যে রঞ্জি খেতাব জিতলেই চলবে।
গতবছর রঞ্জির ৭টি গ্রুপ ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি হায়দরাবাদ। তারা ৬টি ম্যাচে পরাজিত হয়। ১টি ম্যাচ ড্র করার সুবাদে মোটে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা। এলিট-বি গ্রুপের একেবারে শেষে থাকে হায়দরাবাদ এবং তাদের অবনমন হয় প্লেট গ্রুপে।
এবছর হায়দরাবাদ অপরাজিত থেকে প্লেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা সব ম্যাচ থেকে বোনাস-সহ ৭ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে। শেষে ফাইনালে মেঘালয়কে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয় তিলক বর্মার নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদ। ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে মেঘালয় তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৫০ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে মেঘালয় তোলে ২৪৩ রান। শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯৮ রানের। তারা ৫ উইকেটে ২০৩ রান তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়। তিলক বর্মা প্রথম ইনিংসে ৪৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রান করেন। প্লেট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে হায়দরাবাদ আগামী বছর পুনরায় এলিট গ্রুপে লড়াই চালানোর ছাড়পত্র আদায় করে নেয়। অর্থাৎ, আগামী বছর রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়তে পারবেন তিলকরা।
হায়দরাবাদ প্লেট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই দলের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় এইচসিএ-র তরফে। বিশেষ বিশেষ পারফর্ম্যান্সের জন্য আলাদা করে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয় ক্রিকেটারদের। তবে চমক ছিল পরক্ষণেই। এইচসিএ প্রধান জগন মোহন ঘোষণা করেন যে, হায়দরাবাদ যদি আগামী ৩ বছরের মধ্যে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, তবে ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে বিএমডব্লিউ গাড়ি। সেই সঙ্গে দলের জন্য ১ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন জগন মোহন রাও।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ ১৯৩৭-৩৮ মরশুমে প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে ১৯৮৬-৮৭ মরশুমে তারা ফের রঞ্জির খেতাব ঘরে তোলে।