২০২৫ সালে চোট নিয়ে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন তিনিই। ৭ ম্যাচে ১৭টি উইকেট সংগ্রহ করেন শামি। যুগ্মভাবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আসরে চোট নিয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার ফলে পরবর্তী আইপিএলে মাঠে নামতে পারেননি টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার।
এবার বিশ্বকাপ ২০২৪-এর পর থেকে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে রয়েছেন শামি। আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর থেকে আর কোনও ম্যাচে মাঠে নামেননি তিনি। বিশ্বকাপের আসরে পাওয়া সেই চোটের জন্য এবারও আইপিএল খেলা হবে না তারকা পেসারের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবার বিশ্বকাপে শামি শুধু ভারতীয় দলের নয়, বরং টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন। ৭ ম্যাচে ২৪টি উইকেট নেন তিনি। ১০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরে চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচার করাতে হয় শামিকে। এবার ২০২৪ বিশ্বকাপের পরে গোড়ালির চোটে শামিকে ফের অস্ত্রোপচার করাতে হবে বলে খবর।
এক সিনিয়র বোর্ড কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, শামি লন্ডনে গিয়েছিলেন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তাঁর গোড়ালিতে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, তিন সপ্তাহ পর থেকে তিনি হালকা দৌড় শুরু করতে পারবেন। যদিও ইনজেকশন কাজ করেনি। সুতরাং, অস্ত্রোপচারই একমাত্র বিকল্প এখন। তাই শামি তাড়াতাড়িই ফের লন্ডনে উড়ে যেতে পারেন অস্ত্রোপচারের জন্য়। সুতরাং, এবছর তাঁর আইপিএল খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
যার অর্থ, আইপিএল ২০২৪-এর সূচি ঘোষণার দিনেই ঘোর দুঃসংবাদ পান গুজরাট টাইটানস সমর্থকরা। একে তো হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তার উপরে শামি ছিটকে যাওয়ায় চাপ বাড়ল টাইটানস শিবিরে।
শামি ২০১৩ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন। ২০২৫ সাল বাদে বাকি সব মরশুমেই তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে মাঠে নামেন। যদিও ২০১৫ আইপিএলে মাঠে নামতে না পারলেও আর্থিক দিক দিয়ে বিশেষ ক্ষতি হয়নি তারকা পেসারের। কেননা, দেশের স্বার্থে চোট পেয়েছেন বলে বিসিসিআই শামিকে আইপিএল খেলতে না পারার ক্ষতিপূরণ দেয়। শামি আইপিএল না খেলেও ২ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে।
এবারও বিশ্বকাপের মঞ্চেই চোট পান শামি। এখন দেখার যে, ২০২৪ আইপিএলে মাঠে নামতে না পারলে বোর্ড ফের তাঁর আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেয় কিনা। উল্লেখ্য, গুজরাট টাইটানসের সঙ্গে শামির আইপিএল চুক্তি বার্ষিক ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার।