বিশ্বকাপ মিটতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। তবে বিশ্বকাপের রেশ কাটার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ক্রিকেটবিশ্ব, যা সচরাচর ক্লাব স্তরে দেখা যায়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি হতে না পেরে কোনও দেশের জাতীয় দল মাঝপথেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিতান্ত বেমানান।
অথচ ঠিক তেমনটাই ঘটে ইন্দোনেশিয়া বনাম কম্বোডিয়া সিরিজে। ৭ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-২০ সিরিজ খেলতে ইন্দোনেশিয়ায় উড়ে যায় কম্বোডিয়া। সিরিজের প্রথম ৫টি ম্যাচ নির্বিঘ্নে খেলা হয়। ষষ্ঠ ম্যাচও চলছিল স্বাভাবিক ছন্দে। বিপত্তি দেখা দেয় প্রথম ইনিংসের ১২তম ওভারে।
বালির উদায়ানা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের ষষ্ঠ টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কম্বোডিয়া। তারা ইনিংসের ১১.৩ ওভারে চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা লুকমান বাটের উইকেট হারায়। তবে ধনেশ শেট্টির বলে উইকেটকিপার ধর্মা কেসুমার ধরা ক্যাচ নিয়ে অসন্তুষ্ট দেখায় কম্বোডিয়াকে।
তারা এতটাই ক্ষুব্ধ ছিল যে, ৩ উইকেটে দলগত ৭৭ রানের মাথায় মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। আর ব্যাট করতে নামেনি কম্বোডিয়া। শেষমেশ ম্যাচটিতে জয়ী ঘোষিত হয় আয়েজক দেশ ইন্দোনেশিয়া। শুধু সেই ম্যাচেই নয়, বরং সিরিজের সপ্তম তথা শেষ ম্যাচেও মাঠে নামেনি কম্বোডিয়া। ইন্দোনেশিয়াকে ৭ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ইন্দোনেশিয়া ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় কম্বোডিয়াকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও ইন্দোনেশিয়া জয় তুলে নেয় ৮ উইকেটে। কম্বোডিয়া ৮ উইকেটে তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে। চতুর্থ ম্যাচ ১০৪ রানে জিতে সিরিজে ফের ৩-১ ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইন্দোনেশিয়া। পঞ্চম ম্যাচ কম্বোডিয়া জেতে ৭ উইকেটে। সুতরাং, সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে দাঁড়িয়ে যায়। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ষষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নামে কম্বোডিয়া। যদিও তারা ম্যাচের মাঝেই মাঠ ছাড়ায় জয়ী ঘোষিত হয় ইন্দোনেশিয়া।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লুকমান বাট শুধু কম্বোডিয়ারই নন, বরং টি-২০ সিরিজের সেরা ব্যাটার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। তিনি ৬টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১টি অর্ধশতরান-সহ সাকুল্যে ১৬৬ রান সংগ্রহ করেন। সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হন তিনিই। দলের সেরা ব্যাটরের আউট নিয়ে সংশয় থাকায় মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কম্বোডিয়া।