শুভব্রত মুখার্জি: ওডিআই হোক কিংবা টি-২০ যে কোনও ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপের মঞ্চ স্বাভাবিক ভাবেই নবীন তারকাদের নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার মঞ্চ হয়ে ওঠে। বোলার, ব্যাটার বা ফিল্ডার সকলেই এই মঞ্চকে বেছে নেন নিজেদের প্রতিভাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে। তার থেকেও বড় ব্যাপার হল নিজের দেশকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাতে এবং সেই জয়ে যোগদান করতে মুখিয়ে থাকেন তারা। ২০২৩ সালে ভারতের যে ওডিআই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, স্বাভাবিক ভাবেই সেই বিশ্বকাপের মঞ্চেও তারকা হয়ে উঠবেন এই রকম এক বা একাধিক ক্রিকেটার।এ র মধ্যেই অবশ্য প্রাক্তন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জ্যাক কালিস একজনকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর মতে, ভারতের নবীন ডানহাতি ব্যাটার শুভমন গিল একজন অসাধারণ প্রতিভা। কালিসের দাবি, গিলের মধ্যে সমস্ত প্রতিভা, গুণ রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপের সেরা নবীন তারকা হয়ে ওঠার।
প্রসঙ্গত ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের আসর। যার ফাইনাল খেলা হবে ১৯ নভেম্বর। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের পিচকে ইতিমধ্যেই ব্যাটিং সহায়ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইসিসির তরফে। স্বাভাবিক ভাবেই শুভমন গিলের মতো স্ট্রোক মেকারদের যে সুবিধা হতে চলেছে, তা বলাই যায়। শুভমন গিলের প্রশংসা করার পাশাপাশি নিজেকে সৌভাগ্যবানও বলেছেন জ্যাক কালিস। গিলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে দাবি করেছেন এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: স্ট্রাইকরেট বাড়িয়েছি বলেই, রান কমেছে- দাবি রোহিত শর্মার
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কালিসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-র তরফে। সেই প্রশ্নের উত্তরে ৪৭ বছর বয়সি তারকা বলেছেন, ‘আমার মতে, আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের নবীন তারকা হবেন ভারতের শুভমন গিল। অসাধারণ প্রতিভা শুভমন। ওর বিষয়ে আলাদা করে আর কোনও কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। ওকে ব্যাট করতে দেখাটা আমি সব সময়ে উপভোগ করি। আমার ফেভারিট ক্রিকেটার। আমি সব সময়ে ওর ব্যাটিং দেখার জন্য মুখিয়ে থাকি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, ওর সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সে কাজ করার। আমি মুখিয়ে রয়েছি ওডিআই বিশ্বকাপে ওর ভালো পারফরম্যান্স দেখার জন্য।’
বিশ্বকাপের আগে শেষ ১২টি ওডিআইতে ৭৫০ রান করেছেন শুভমন গিল। গড় ৬৮.১৮। করেছেন তিনটি শতরানও। ২০২৩ সালের আইপিএলেও স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন তিনি। ১৭ ম্যাচে করেন ৮৯০ রান। এই আইপিএলেও তিনটি শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এক দশক বাদে আইসিসি ট্রফির খরা কাটাতে, ভারত যে গিলের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তা বলাই যায়।