শুভব্রত মুখার্জি: সারা বিশ্ব জুড়ে এই মুহূর্তে টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দাপাদাপি চলছে। বিশ্বের হেন কোন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ নেই, যেখানে ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগের বাড়বাড়ন্ত নেই। টি-২০ ফর্ম্যাটের এই দাপটে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটকে। সারা বিশ্ব জুড়েই টেস্টকে নিয়ে আগ্রহ কমেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি এই ফর্ম্যাটের জনপ্রিয়তা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে। চালু হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। এসেছে গোলাপি বলের ক্রিকেট, অর্থাৎ দিন-রাতের টেস্ট। এমন আবহে প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ দাবি করেছেন, টেস্ট ক্রিকেটের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ সূচি নয়, রেভিনিউ শেয়ারিং।
আরও পড়ুন: রঞ্জি খেলছেন না, কোনও খবর নেই, তবে বরোদায় কিরণ মোরে অ্যাকাডেমিতে কী করছেন ইশান কিষাণ?
বর্তমানে আইসিসির রেভিনিউ শেয়ারিং অর্থাৎ মুনাফা বিভিন্ন ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের মধ্যে বিভিন্ন অনুপাতে শেয়ার করা হয়। যার মধ্যে সব থেকে বেশি শেয়ার পায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই। ২০২৪-২৭ এই চক্রে ভারতীয় বোর্ড আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ শেয়ার পাবে। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ হবে ২৩১ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড পাবে মাত্র ২৭.৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ২৬.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গ্রেম স্মিথের মতে, আইসিসির সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল এই বৈষম্য দূর করা। এই বৈষম্য দূর করতে পারলেই অনেক কিছু উন্নতিই সম্ভব বলে তাঁর মত। স্মিথের মতে, ঠাঁসা ক্রীড়া সূচি টেস্ট ক্রিকেটের কাছে কোন চ্যালেঞ্জ নয়। টেস্ট ক্রিকেটের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ রেভিনিউ শেয়ারিং।
আরও পড়ুন: কপাল পুড়ল ভারতের, রাজকোট এবং রাঁচিতে সম্ভবত পাওয়া যাবে না কোহলিকে- রিপোর্ট
বর্তমানে চলতি এসএ২০ লিগের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গ্রেম স্মিথ। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রেম স্মিথ বলেছেন, ‘সবাই ক্রীড়া সূচি নিয়ে কথা বলছে। আমি সেই সব নিয়ে বলব না। কারণ আমি জানি, ব্যস্ত ক্রীড়া সূচি টেস্টের জন্য মোটেও বড় চ্যালেঞ্জ নয়। টেস্ট ক্রিকেটের আসল যে চ্যালেঞ্জ, তা হল রেভিনিউ শেয়ারিং পদ্ধতি। আপনারা নিশ্চয় এর আগে দেখেছেন জনি গ্রেভ ( ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিইও) এই রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের পদ্ধতি নিয়ে এর আগেও বলেছেন। সরাসরি বিষয়টি নিয়ে বলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক সময়ের যে টেস্ট জয়, তা ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো বিজ্ঞাপন। আমরা এমসিসি ক্রিকেট কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করেছি, এই রেভিনিউ শেয়ারিং পদ্ধতি নিয়ে। কী হওয়া উচিত, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমার মতে, ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট খেলিয়ে দেশগুলোকে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী করতে পারলেই, আমি মনে করি, তারা নিজেরাই টেস্ট ক্রিকেটটা খেলতে চাইবে।’