একে তো বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংসে হারের ধাক্কা। তার উপরে ম্যাচ হেরে উঠেই আইসিসির শাস্তির কবলে পড়তে হল টিম ইন্ডিয়াকে। শুধু ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগতভাবে জরিমানার মুখেই পড়তে হওয়াই নয়, সেই সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও বড়সড় ধাক্কা খেতে হয় ভারতীয় দলকে।
সুপারস্পোর্ট পার্কে স্লো ওভার রেটের জন্য ভারতকে জোড়া মাশুল দিতে হয়। প্রথমত, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-র ১০ শতাংশ করে জরিমানা করা হয়। দ্বিতীয়ত, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের মূল্যবান ২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয় রোহিতদের। যার জেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় বিরাট ধাক্কা খায় টিম ইন্ডিয়া।
একেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট হেরে ডব্লিউটিসি টেবিলে এক নম্বর থেকে সোজা ৫ নম্বরে নেমে যেতে হয় ভারতকে। তার উপরে স্লো ওভার রেটের জন্য ২ পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় লিগ টেবিলে আরও পিছিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলে ভারত নেমে যায় ছয় নম্বরে।
কেন ভারতের পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়:-
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী স্লো ওভার-রেটের শাস্তি হিসেবে কাটা যায় পয়েন্ট। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ে বোলিং কোটা শেষ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট দলকে মাশুল দিতে হয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট খুইয়ে। প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য কেটে নেওয়া হয় ১ পয়েন্ট করে। সেই সঙ্গে প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-র ৫ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ জরিমানা করার শাস্তিবিধানও রয়েছে।
সেঞ্চুরিয়নে সব দিক বিবেচনার পরেও ভারত নির্ধারিত সময়ে ২ ওভার পিছিয়ে থাকে। সুতরাং, ওভার প্রতি ৫ শতাংশ হারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ১০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ২ ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ভারতীয় দলের ২টি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট কাটা যায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৩টি ম্যাচ থেকে ভারতের সংগ্রহে রয়েছে ৩৮.৮৯ শতাংশ হারে ১৪ পয়েন্ট।
ফিল্ড আম্পায়ারদের রিপোর্ট অনুযায়ী আইসিসির এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড প্রথম টেস্টের শেষে ভারতীয় দলের শাস্তিবিধান করেন। ক্যাপ্টেন রোহিত অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় ফর্ম্যাল হেয়ারিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। উল্লেখ্য সুপারস্পোর্ট পার্কে ফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেল ও জিম্বাবোয়ের ল্যাঙ্গটন রাসের। তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন পাকিস্তানের এহসান রাজা। চতুর্থ আম্পায়ার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিফেন হ্যারিস।