আইপিএল ২০২৪-এ রানের প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আর রানের বৃষ্টি হবে আর ছক্কার রেকর্ড হবে না তাও হয় নাকি। আইপিএল-এর ১৭তম মরশুমে রানের বৃষ্টি সঙ্গে সঙ্গে ছক্কার ঝড়ও উঠেছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অর্থাৎ আইপিএল-এর ১৭ তম আসরের ১৭ তম ম্যাচে ছক্কার একটি ট্রিপল সেঞ্চুরি সম্পন্ন হয়েগেল। আইপিএল-এর ইতিহাসে এটি একটি বড় রেকর্ড। এর আগে আইপিএল-এর কোনও মরশুমে এত কম ম্যাচে ৩০০টি ছক্কা মারা হয়নি। এই রেকর্ডই বলে দিচ্ছে আইপিএল-এর চলতি মরশুমে ব্যাটারদের তুলনায় বোলাররাই একটু বেশি চাপে রয়েছেন। সেই কারণেই প্রচুর রান হজম করতে হচ্ছে তাদের।
আইপিএল ২০২৪-এর ১৭ তম ম্যাচটি আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ম্যাচে গুজরাট টাইটানস এবং পঞ্জাব কিংসের মধ্যে লড়াই চলছে। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে, স্বাগতিক দল গুজরাট টাইটানসের ওপেনার এবং অধিনায়ক শুভমন গিল প্রথম ওভারেই একটি ছক্কা মেরেছিলেন, যা ছিল চলতি টুর্নামেন্টের ৩০০তম ছক্কা। চলতি মরশুমে এই টুর্নামেন্টে ছক্কার বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। এর আগে গত মরশুমে ১৭ ম্যাচে ২৫৯টি ছক্কা মারা হয়েছিল, যেখানে ২০২০ সালে একই সংখ্যক ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দ্বারা ২৫৮টি ছক্কা মারা হয়েছিল। ২০১৮ সালে, ব্যাটসম্যানরা একই সংখ্যক ম্যাচে ২৫০টি ছক্কাও মারতে পেরেছিেন। যেখানে ২০২২ সালে, আইপিএলের প্রথম ১৭ তম ম্যাচে ব্যাটারদের দ্বারা মোট ২৪৫টি ছক্কা মারা হয়েছিল।
আরও পড়ুন… IPL 2024 DC vs KKR: এটা T20 ক্রিকেট, এই ফর্ম্যাটটি নৃশংস- কেন এমন বললেন মিচেল স্টার্ক?
আপনাদের তথ্যের জন্য বলে রাখি, তথ্য বলছে এই মরশুমে প্রতি ১২ এবং ১৩ তম বলে একটি করে ছক্কা মারা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২৫ বলে কমপক্ষে ২টি করে ছক্কা মারা হচ্ছে। এছাড়া আইপিএলের প্রতিটি মরশুমেই ১৫টির বেশি বলে ছক্কা আসতে দেখা গিয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে দুই ডজনের বেশি ছক্কা মারা হচ্ছে, তাই আপনি কল্পনা করতে পারেন এই টুর্নামেন্ট কতটা উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান এনরিখ ক্লাসেন একাই ১৭টি ছক্কা মেরেছেন। যেখানে রাজস্থানের ব্যাটসম্যান রিয়ান পরাগ, লখনউ সুপার জায়ান্টস ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান এবং কেকেআর ওপেনার সুনীল নারিন প্রত্যেকেই এখনও পর্যন্ত ১২টি করে ছক্কা মেরেছেন।
এবারের টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত দুইবার স্কোর বোর্ডে ২৫০-র বেশি রান উঠেছে। একবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অন্য ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স এমনটা করেছে। এবারের আইপিএল-এ ব্যাটাররা যখন তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তখন বোলাররা বেশ চাপে রয়েছেন। যদিও বোলারদের জন্য ওভার প্রতি দুটি বাউন্সার রাখা হয়েছে, তবু সব দেখে মনে হচ্ছে এবারের টুর্নামেন্টে বোলারদের টেক্কা দিচ্ছেন ব্যাটাররাই।