সারের হয়ে কাউন্টিতে ব্যাট হাতে নজর কাড়েন সাই সুদর্শন। হ্যাম্পশায়ারের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দলের হয়ে দুই ইনিংসেই সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় তারকা সংগ্রহ করেন ৪০ রান। কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পরেই সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে ইরানি ট্রফির ম্যাচে মাঠে নেমে পড়েন সুদর্শন। বলাবাহুল্য, ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন তিনি।
এমনটা নয় যে, কাউন্টির একজোড়া ম্যাচ খেলার আগে ছন্দে ছিলেন না সাই। বরং সব ফর্ম্যাটে সব ধরণের টুর্নামেন্টে ক্রমাগত রান করে যাওয়ার জন্যই সারের হয়ে কাউন্টি খেলার ডাক পান তিনি। তবে ভারত ও ইংল্যান্ডের পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতি আলাদা হলেও সুদর্শন যেভাবে মানিয়ে নেন, তা এককথায় অনবদ্য।
রবিবার রাজকোটে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরানি কাপের ম্যাচে মাঠে নামে অবশিষ্ট ভারত একাদশ। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অবশিষ্ট ভারতের ক্যাপ্টেন হনুমা বিহারী। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাই সুদর্শন। মায়াঙ্কের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৬৯ রান তুলে ফেলেন সাই। পরে ক্যাপ্টেন হনুমার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করান তিনি।
মায়াঙ্ক ও বিহারী সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন। তবে হাফ-সেঞ্চুরির আগে থামানো যায়নি সুদর্শনকে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ইনিংসের ১৮.২ ওভারে ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজার বলে প্রেরক মানকড়ের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৩ বলে ৩২ রান করেন তিনি। ৭৫ বলে ৩৩ রান করে মাঠ ছাড়েন বিহারী। ৪২.২ ওভারে পার্থ ভাটের বলে সামর্থ ব্যাসের হাতে ধরে দেন রেস্ট অফ ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন।
সুদর্শন ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬৪ বলে ৭২ রান করে মাঠ ছাড়েন সাই। তিনি ৫৬.২ ওভারের মাথায় পার্থর বলে প্রেরকের হাতে ধরা পড়ে যান। অবশিষ্ট ভারত দলগত ১৬১ রানে ৩ উইকেট হারায়।
অবশিষ্ট ভারতের প্রথম একাদশ:-
সাই সুদর্শন, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, হনুমা বিহারী (ক্যাপ্টেন), সরফরাজ খান, যশ ধুল, কেএস ভরত (উইকেটকিপার), শামস মুলানি, পুলকিত নারাং, সৌরভ কুমার, নভদীপ সাইনি ও বিদ্বথ কাভেরাপ্পা।
সৌরাষ্ট্রের প্রথম একাদশ:-
জয়দেব উনাদকাট (ক্যাপ্টেন), চেতেশ্বর পূজারা, শেলডন জ্যাকসন, হার্ভিক দেশাই (উইকেটকিপার), প্রেরক মানকড়, চিরাগ জানি, ধর্মেন্দ্রসিং জাদেজা, যুবরাজসিং দদিয়া, অর্পিত বাসবদা, পার্থ ভাট ও সামর্থ ব্যাস।